#দুবাই: এশিয়া কাপ ফাইনালে যেভাবে ধ্বংসস্তূপ থেকে লঙ্কাকে ঘুরে দাঁড়াতে সাহায্য করেছিল ভানুকা রাজাপক্ষর ইনিংস, তাতে বাকি কাজটা করতে হত বোলারদের। কিন্তু শুরুতেই ধাক্কা। ক্রিকেট ম্যাচে অতিরিক্ত রান অনেক সময় ফলাফলে প্রভাব ফেলে। এশিয়া কাপ ফাইনালে সেই অতিরিক্ত রানই পাকিস্তানকে বাড়তি সুবিধা করে দিল ইনিংসের শুরুতেই।
advertisement
কোনও বল না খেলেই নয় রান হয়ে গেল বাবর আজমদের! শ্রীলঙ্কার অধিনায়ক দাসুন শনাকা ফাইনালে নতুন বল তুলে দেন দিলসান মদুশঙ্কর হাতে। প্রতিপক্ষকে ধাক্কা দেওয়ার বদলে পাকিস্তানের লক্ষ্যই কমিয়ে দিলেন তিনি। কিন্তু লঙ্কাকে ম্যাচে ফিরিয়ে আনলেন মধুশান। বাবর আজম (৫) এবং ফখর (০) একই ওভারে তুলে নিলেন তিনি।
এরপর অবশ্য রিজওয়ান এবং ইফতিকার ৭১ রানের পার্টনারশিপ ম্যাচে ফিরিয়ে আনল পাকিস্তানকে। শেষ পর্যন্ত ইফতিকার আউট হলেন ৩২ করে। তবুও লঙ্কা ম্যাচে ছিল প্রবল ভাবে। রিজওয়ান উইকেটে পড়ে থাকলেও টি-টোয়েন্টি অনুপাতে রান করতে পারছিলেন না। ধনঞ্জয়, হাসারাঙ্গা দুজন স্পিনার বুদ্ধি করে বল করছিলেন। মহম্মদ নওয়াজ (৬) ফিরে গেলেন করুণা রত্নের বলে।
পাওয়ার প্লে এবং প্রথম ১০ ওভারে ম্যাচে দাপট ছিল পাকিস্তানের। অত্যন্ত খারাপ শট খেলে আউট হলেন শ্রীলংকার অধিনায়ক শানাকা। দুই করে ক্রস শট খেলতে গিয়ে শাদাব খানের বলে বোল্ড হলেন। শ্রীলংকার পক্ষে বড় টার্গেট তোলা সম্ভব নয় পরিষ্কার হয়ে গিয়েছিল অনেক আগেই। প্রথম ১০ ওভারে শ্রীলংকার রান ছিল ৬৭/৫।
দুর্বার গতিতে এগিয়ে চলেছিল পাকিস্তান। তাদের পেস এবং স্পিনের যুগলবন্দীতে লঙ্কার অবস্থা ক্রমশ শোচনীয় হয়ে উঠছিল। ১৪ ওভারে ১০০ পূর্ণ হল শ্রীলংকার। এই জায়গা থেকে শ্রীলংকার হয়ে কিছুটা জমি তৈরি করলেন রাজাপক্ষ এবং হাসারাঙ্গা। ৫০ রানের পার্টনারশিপ তৈরি হল দুজনের।
১৭ ওভারের প্রথম বলে রিজওয়ানকে (৫৫) তুলে নিলেন হাসারাঙ্গা। বাউন্ডারি লাইনে দুর্দান্ত ক্যাচ নিলেন গুনতিলক। ৭ নম্বরে নামলেন আসিফ আলি। অন্যদিকে ছিলেন খুষদিল শাহ। কিন্তু হাসারাঙ্গাকে আক্রমণ করতে গিয়ে খাতা না খুলে বোল্ড আসিফ আলি। এখানেই ম্যাচটা শ্রীলংকা জিততে চলেছে মোটামুটি নিশ্চিত হয়ে গেল।ওই ওভারেই খুষদীলকে আউট করলেন হাসারাঙ্গা। কেন তিনি এই মুহূর্তে বিশ্ব ক্রিকেটের অন্যতম সেরা অলরাউন্ডার বুঝিয়ে দিলেন শ্রীলংকান।