এক বছর আগেও সিএবির বার্ষিক সাধারণ সভার আয়োজনের আগে দুই শিবিরের লড়াইয়ের মুখ ছিলেন এই দুইজন। সিএবির প্রশাসনের শীর্ষ পদে থাকাকালীন জগমোহন ডালমিয়ার প্রয়াণের পর প্রেসিডেন্ট পদে বসেছিলেন সৌরভ। সর্বসম্মতভাবে সৌরভ সেই পদে না বসায় সেই তখন থেকেই প্রাক্তন ভারত অধিনায়কের সঙ্গে সম্পর্কের অবনতি শুরু হয় তৎকালীন কোষাধ্যক্ষ বিশ্বরূপ দে-র।
advertisement
তারপর গঙ্গা দিয়ে বয়ে গেছে অনেক জল। বিভিন্ন সময়ে সিএবিতে কিংবা সংবাদ মাধ্যমে একে অপরের বিরুদ্ধে একাধিকবার বক্তব্য রেখেছেন। এক বছর আগেও সৌরভের প্যানেলের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে নামার প্রস্তুতি শুরু করেছিলেন বিশ্বরূপ। পরিস্থিতি সামাল দিতে সৌরভ নিজে প্রেসিডেন্ট পদে ভোটে দাঁড়ানোর কথা ঘোষণা করেছিলেন। তবে শেষ পর্যন্ত সেই লড়াই দেখেনি বঙ্গ ক্রিকেট ময়দান। সৌরভ আর সভাপতি পদে লড়াই করেননি। বিশ্বরূপ বিরোধিতা করলেও শেষ পর্যন্ত ভোটের ময়দানে তার প্যানেল নিয়ে নামেননি।
তবে তখন দুজনের সম্পর্কের ফাটলের যে জোড়া লেগেছিল তেমনটা হয়নি। কিন্তু এবার বোধহয় ময়দানের দুই যুযুধান কর্তার সম্পর্ক জোড়া লাগতে চলেছে। সম্পর্কের ফাটলে মেরামত হতে চলেছে। এতদূর পরে আপনার নিশ্চয়ই মনে হচ্ছে কেন এ কথা প্রতিবেদনে লেখা হচ্ছে? হঠাৎ কী হলো? আসলে শনিবার সিএবির ৯২ তম বার্ষিক সাধারণ সভা ছিল শহরের এক পাঁচ তারা হোটেলে। সেখানেই ফ্রেমবন্দী হয়েছেন একসঙ্গে সৌরভ-বিশ্বরূপ। দেখা থেকে কথা। পরস্পর পরস্পরের সঙ্গে করমর্দন করছেন। গল্পও করেছেন।
প্রত্যক্ষদর্শীদের দাবি, দুজন নিজেদের মধ্যে হাসিমুখে গল্পও করেছেন। এমনকি দিনের বৈঠকে সৌরভের তৈরি করা স্বপ্নের প্রজেক্ট ভিশন টোয়েন্টি টোয়েন্টি সিএবি কর্তারা বন্ধ করে দেওয়ায় প্রশ্ন তুলেছেন বিশ্বরূপ দে। কেন তোলা হলো জানতে চেয়েছেন। সভায় উপস্থিত থাকা সিএবির অনেক কর্তাই বলছেন, সাম্প্রতিক সময়ে দুজনকে একসঙ্গে এত হাসিমুখে কথা বলতে তারা দেখেননি। অনেকে তো এও মনে করছেন, এবার বোধহয় বিরোধিতার পালা শেষ। এক শিবিরেই হাতে হাত মিলিয়ে দেখা যাবে সৌরভ-বিশ্বরূপকে। এটাই নাকি মহারাজের মাস্টার স্ট্রোক।
আরও পড়ুনঃ India vs Pakistan: একই দিনে ৩ বার পাকিস্তানকে হারাল ভারত, তরতরিয়ে উড়ল তেরঙা
এই প্রসঙ্গে সৌরভের বক্তব্য পাওয়া না গেলেও বিশ্বরূপের দাবি, কয়েকদিন পরেই বিশ্বকাপ। এখন কোন বিরোধিতা নয় প্রশ্নই উঠে না। সিএবির স্বার্থে, বাংলা ক্রিকেটের স্বার্থে সবাইকে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে লড়াই করতে হবে। পাশাপাশি মুচকি হেসে বিশ্বরূপের দাবি, কোন ভুল হলে আমি তার প্রতিবাদ করি। এই যেমন এজিএমে সৌরভের স্বপ্নের প্রজেক্ট বন্ধ হওয়া নিয়ে সরব হয়েছি।