লো স্কোরিং ফাইনালে ভারতীয় দলের ব্যাটিংয়ে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখেন দলের অভিজ্ঞ ব্যাটাক স্মৃতি মন্ধনা। সর্বোচ্চ ৪৬ রানের ইনিংস খেলেন তিনি। ইনিংসে ৪টি চার ও একটি ছয় মারেন তিনি। সোনা জয়ের পর নিজের আবেগ চেপে রাখতে পারেননি তিনিও। এতদিনের দেখা স্বপ্নপূরণ হওয়ায় উচ্ছ্বসিত ভারতীয় তারকা ব্যাটার। ফাইনাল জয়ের পর সংবাদ সংস্থা এএনআইকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে নিজের মনে কথা বলেন স্মৃতি মন্ধনা।
advertisement
“এটি আমার কাছে খুব বিশেষ। আমরা টিভিতে এতদিন দেখেছি। নীরজ চোপড়া যখন সোনা জিতেছিল আমার একটি ম্যাচ ছিল, পদক নেওয়ার সময় জাতীয় সঙ্গীত বাজানো হয়েছিল এবং ভারতের জাতীয় পতাকা উপরে উঠেছিল। তখন আমি চোখের জল ধরে রাখতে পারিনি। ভাবতাম আমাদের জন্যও একদিম এমন হবে। কিন্তু একাধিকবার সামনে গিয়েও নিজেদের সেরাটা দিতে না পারায় খালি হাতে ফিরতে হয়েছে। এশিয়ান গেমসে আমরা সেরাটা দিয়ছি। স্বপ্নপূরণ হয়েছে। আমরা ভারতীয় দলের পদক তালিকায় অবদান রাখতে পেরে সত্যিই খুব খুশি।”
প্রসঙ্গত, ফাইনালে টস জিতে প্রথমে ব্যাটিং করার সিদ্ধান্ত নেন হরমনপ্রীত কউর। তবে ব্যাটিংয়ে খুব একটা আহামরি রান করতে পারেনি ভারত। স্লো উইকেটে স্মৃতি মন্ধনা ও জেমাইমা রড্রিগেজ ছাড়া দুই অঙ্কের রানে পৌছতে পারেনি কোনও ভারতীয় ব্যাটার। স্মৃিত মন্ধানা ৪৬ ও জেমাইমা রড্রিগেজ ৪২ রান করেন। শেষ পর্যন্ত ২০ ওভারে ৭ উইকেট হারিয়ে ১১৬ রান করে ভারতীয় মহিলা ক্রিকেট দল।
ফাইনালে ১১৭ রানের টার্গেট তাড়া করতে নেমে শুরু থেকেই নিয়মিত ব্যবধানে উইকেট হারাতে থাকে শ্রীলঙ্কা। তিতাস সাঁধু, রাজেস্বরী গায়কোয়াড়, দীপ্তি শর্মা পুজা ব্স্ত্রাকারদের বোলিং অ্যাটাকের সামনে খুব একটা খাপ খুলতে পারেনি শ্রীলঙ্কার ব্যাটাররা। মাঝে হাসিনি পেরেরা ২৫, নীলাক্ষী ডি সিলভা ২৩, ওশাডি রানাসিঙ্ঘে ১৯ রানের ইনিংস খেলে লড়াই করার চেষ্টা করলেও শেষ রক্ষা হয়নি। শেষ পর্যন্ত ২০ ওভারে ৮ উইকেট হারিয়ে ৯৭ রানে শেষে হয় শ্রীলঙ্কার ইনিংস।