চোট থাকলেও প্রথম থেকেই মাঠে নেমে ছিলেন হুগো বুমু। দিমিত্রি, মনবীর, আশিকরা নিজেদের দখলে বল রেখে যথেষ্ট আক্রমণ তুলে আনছিলেন। কিন্তু বক্সে ফিনিশিং হচ্ছিল না। দিমিত্রি এবং প্রীতম কোটাল পজিটিভ সুযোগ পেয়েছিলেন। কিন্তু মোহনবাগানের পজিটিভ স্ট্রাইকার না থাকায় বল গোলে যাচ্ছিল না।
উল্টোদিকে প্রথমার্ধে ইস্টবেঙ্গলের সুহের এবং মহেশ হাফ চান্স পেয়েছিলেন। কিন্তু দুই দলের ডিফেন্স বিশেষ ভুল না করায় আসল গোল আসেনি। তবে মেজাজ ছিল আগুনে। রেফারিকে বেশ কয়েকবার হলুদ কার্ড বের করতে হল। ৫২ মিনিটের মাথায় দিমিত্রি র শট পোস্টে লেগে ফিরে এল। এরপর হঠাৎ করেই গ্লেনকে তুলে নিয়ে পুটিয়াকে নিয়ে আসা হল।
৬৭ মিনিটে এগিয়ে গেল এটিকে মোহনবাগান। দিমিত্রি কর্নার থেকে ফ্লিক করেন মনবীর। স্লাভকো হেডে বলটা ঘুরিয়ে দিলেন। পোস্টে লেগে ফিরে এলেও আবার সেই তিনি বল জালে পাঠিয়ে দিলেন। তারপর জার্সি খুলে সেলিব্রেশন সার্বিয়ান তারকার। আজ ব্রেন্ডন হামিল ফিট থাকলে তিনি খেলতেন কিনা সন্দেহ।
কিন্তু বড় ম্যাচের গুরুত্বপূর্ণ গোল এল তার পা থেকে। এরপর অবশ্য মাথা গরম করে হলুদ কার্ড দেখলেন ইস্টবেঙ্গলের সিলভা। এরপর হুগোর জায়গায় কিয়ানকে নামালেন হুয়ান। ৯০ মিনিট শেষ হওয়ার এক মিনিট আগে আবার মোহনবাগানের পক্ষে ব্যবধান বাড়ালেন অস্ট্রেলিয়ান তারকা দিমিত্রি। কিয়ানের শট ফিরে এলে সেই বল জালে জড়িয়ে দিলেন তিনি।