প্রথমত, শশাঙ্ক সিং-কে কেন্দ্র করে সাম্প্রতিক বিতর্ক রীতিমতো আলোড়ন তোলে। মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের বিরুদ্ধে ম্যাচে শশাঙ্ক রান আউট হয়। দল জয় পেলেও শ্রেয়স তাকে গালিগালাজ করেন ও করমর্দন করেননি। সচিন তেন্ডুলকর থেকে আকাশ চোপড়া পর্যন্ত অনেকেই এই ঘটনাকে অনভিপ্রেত বলেছেন। একজন অধিনায়কের কাছ থেকে শৃঙ্খলাবোধ ও সহনশীলতা প্রত্যাশিত বলে মনে করেন সকলে।
advertisement
দ্বিতীয়ত, ২০২৪ সালে বিসিসিআই শ্রেয়সকে কেন্দ্রীয় চুক্তি থেকে বাদ দেয়। কারণ তিনি বোর্ডের নির্দেশ সত্ত্বেও ঘরোয়া ক্রিকেটে অংশগ্রহণ করেননি। একজন পেশাদার ক্রিকেটারের জন্য এমন অবহেলা কেবল অগভীর দায়িত্ববোধের ইঙ্গিত দেয় না, বরং বোর্ডের প্রতি শ্রদ্ধার ঘাটতিও তুলে ধরে।
তৃতীয়ত, ২০২৪ সালে কেকেআর চ্যাম্পিয়ন হওয়া সত্ত্বেও শ্রেয়সকে রিটেইন না করার সিদ্ধান্ত বিস্ময় জাগায়। যদিও শ্রেয়স সরাসরি কিছু বলেননি। তার প্রতিক্রিয়া থেকে বোঝা যায়, নিজেকে উপেক্ষিত মনে করেছেন। সহবাগ ও অন্যান্য বিশেষজ্ঞরাও মনে করেন, কেকেআর ভুল করেছিল।
চতুর্থত, কোহলির সঙ্গে মাঠে উত্তেজনা এবং হরপ্রীত ব্রারের ঘটনায় তার প্রতিক্রিয়া অনেকের কাছে অহংকার মনে হয়েছে। ক্রিকেট একটি মানসিক খেলার নাম—এখানে কেবল ব্যাট-বলের খেলা নয়, নেতৃত্বে আত্মসংযমও সমান গুরুত্বপূর্ণ।
পঞ্চমত, মুম্বইয়ের বিরুদ্ধে জয় উদযাপনে তার অনিচ্ছা ও নেস ওয়াদিয়ার কেক খাওয়ানোর সময় তার প্রতিক্রিয়া ঘিরে নতুন জল্পনা তৈরি হয়। সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে যে দলে অভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্ব রয়েছে।
আরও পড়ুনঃ IPL 2025 Final: কে জিতবে আইপিএল? কার হবে স্বপ্নভঙ্গ? প্রতিটি AI যা ভবিষ্যদ্বাণী করল, চমকে যাবেন!
সবমিলিয়ে, শ্রেয়স আইয়ার একদিকে মাঠে সাহসী ও ফলপ্রসূ অধিনায়ক, অপরদিকে বিতর্কিত ও কখনও কখনও অসংযত। ভবিষ্যতে তার নেতৃত্ব যদি ভারসাম্যপূর্ণ হয়, তবে ভারতীয় ক্রিকেট তার থেকে আরও অনেক কিছু আশা করতে পারে।