ভারতে এগিয়ে ৫৮ রানে
জোহানেসবার্গ: দ্বিতীয় দিনের শেষে ওয়ান্ডারার্স মাঠে যতটা দখল নেওয়ার কথা ছিল ভারতের, ততটা নিতে পারল না তারা। টপ অর্ডারের ব্যাটিং ব্যর্থতায় কিছুটা চিন্তার ভাঁজ রয়ে গেল। দুর্ধর্ষ বোলিংকে সমর্থন দিতে পারল না ফ্লপ ব্যাটিং। দিনটা ছিল শার্দূল ঠাকুরের। টেস্ট ক্রিকেটে প্রথম বার সাত উইকেট নিলেন তিনি। এর আগে কখনও পাঁচ উইকেটও নেননি।
advertisement
দলকে ম্যাচে ফিরিয়ে এনেছিলেন প্রায় একার হাতে। দক্ষিণ আফ্রিকা লিড নেয় মাত্র ২৭ রানে। কিন্তু দিনের শেষে দুই ওপেনারকে হারিয়ে কিছুটা চিন্তার মেঘ রয়েই গেল ভারতের আকাশে। দিনের শেষে ভারতের স্কোর ৮৫/২। ৫৮ রানে এগিয়ে রয়েছেন রাহুলরা। প্রথম ইনিংসে মাত্র ২০২ রান করায় দক্ষিণ আফ্রিকাকে তাড়াতাড়ি ফিরিয়ে দেওয়াই প্রথম লক্ষ্য ছিল ভারতের।
কিন্তু দ্বিতীয় শুরুটা ভালই করেছিলেন আগের দিন অপরাজিত থাকা ডিন এলগার এবং কিগান পিটারসেন। প্রথম সেশনে ভারতীয় পেসারদের আক্রমণ সামলে দলকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছিলেন তাঁরা। মহম্মদ শামি, যশপ্রীত বুমরারা ভাল বল করলেও আউট করতে পারছিলেন না তাঁদের।
মধ্যাহ্নভোজের কিছু সময় আগে শার্দূল ঠাকুরকে বল দেন অধিনায়ক রাহুল। আর তাতেই পাল্টে গেল ম্যাচের রং। প্রথম সেশনেই তিনটি উইকেট তুলে নেন শার্দূল। ১০২ রানে চার উইকেট হারিয়ে মধ্যাহ্নভোজে যায় দক্ষিণ আফ্রিকা। পরের সেশনের শুরুতেই ফের ধাক্কা দেন শার্দূল। পাঁচ উইকেট তুলে নেন তিনি।
টেস্ট ক্রিকেটে প্রথম বার পাঁচ উইকেট তাঁর। দিনের শেষে সেই সংখ্যাটা হল সাত। প্রায় একাই শেষ করে দিলেন দক্ষিণ আফ্রিকার ইনিংস। ২২৯ রানে শেষ প্রোটিয়ারা। শেষ বেলায় মার্কো জানসেন এবং কেশব মহারাজের ব্যাট কথা না বললে লিড নেওয়াই মুশকিল হয়ে যেত তাদের। ব্যাট করতে নেমে ধীরে চল নীতি নিয়েছিলেন লোকেশ রাহুল এবং মায়াঙ্ক আগরওয়াল।
কিন্তু বিপদ ডেকে আনেন জানসেন। বাঁহাতি পেসার তুলে নেন রাহুলকে। কিছুক্ষণের মধ্যে অলিভিয়েরের বলে আউট হয়ে সাজঘরের পথ ধরেন মায়াঙ্ক। ক্রিজে চেতেশ্বর পুজারা এবং অজিঙ্ক রহাণে। প্রথম ইনিংসে দুজনেই ছিলেন চরম ব্যর্থ। এই ইনিংস তাদের কাছে অগ্নিপরীক্ষা।
দুই সিনিয়র ক্রিকেটার অনেক সুযোগ পেয়েও বারবার ব্যর্থ হচ্ছেন। এবার দেখার তৃতীয় দিন সকাল থেকে দুজন সিনিয়র মিডল অর্ডার ব্যাটসম্যান দলের প্রয়োজনে নিজেদের মেলে ধরতে পারে কিনা। পারলে ভাল, না পারলে এটাই শেষ টেস্ট হতে পারে এই দুজনের।