নিউজিল্যান্ডের মাটিতে প্রথম টেস্ট তো বটেই, সব সংস্করণ মিলিয়ে ৩৩ ম্যাচে প্রথম এই জয়ে বাংলাদেশ দলের খেলা নিয়ে উচ্ছ্বাসের কমতি নেই সাকিবেরও। কিন্তু যতই সুখের অনুভূতি জাগাক, মাউন্ট মঙ্গানুই তো একটা স্মৃতিই। সুখস্মৃতিটা পেছনে ফেলে বাংলাদেশ দলকে এখন তাকাতে হচ্ছে বাংলাদেশ সময় আগামী কাল ভোর চারটায় শুরু হতে যাওয়া দ্বিতীয় টেস্টের দিকে।
advertisement
ক্রাইস্টচার্চের সবুজ ঘাসের উইকেটে দ্বিতীয় টেস্টটা বাংলাদেশের জন্য আরও বড় চ্যালেঞ্জ নিয়েই আসবে। সে টেস্টে বাংলাদেশ দলকে কী করতে হবে, সেটা তো দলের বৈঠকেই ঠিক হবে। তবে ঢাকায় বসে সে প্রশ্নের মুখে পড়ে সাকিব নিজের অভিজ্ঞতা আর ক্রিকেটবোধ থেকে মনে করিয়ে দিলেন কিছু কথা। বাংলাদেশে ফিরে এসেছেন সাকিব। আগামী পরশু থেকে শুরু হতে যাওয়া দ্বিতীয় টেস্টে উইকেট সবুজ হওয়ার সম্ভাবনাই বেশি।
নিউজিল্যান্ডের ট্রেন্ট বোল্ট, টিম সাউদি, নিল ওয়াগনারদের পেস আক্রমণ এমন উইকেটে সবচেয়ে ভয়ংকর। এ নিয়ে বাংলাদেশের ক্রিকেটপ্রেমীরা শঙ্কায় থাকলেও সাকিব মনে করিয়ে দিলেন উল্টো দিকটাও, সবুজ উইকেট হলেও আমাদের জন্য যে সুবিধাটা থাকবে, সেটা হল আমাদের যে তিনজন বোলার আছে, তারাও খুব ভাল বোলিং করেছে। (স্পিনার মেহেদী হাসান) মিরাজও অসাধারণ বোলিং করেছে। নিউজিল্যান্ডকেও আমাদের বোলারদেরও মুখোমুখি হতে হবে।
ব্যাট-বলের দক্ষতাই পাঁচ দিনের শেষে ব্যবধান গড়ে দেয় ঠিকই, তবে ক্রিকেট ম্যাচের ভাগ্য আর পরিকল্পনায় টস জেতা-হারার প্রভাবও তো অনেক বড় হয়ে দাঁড়ায়। সাকিবের চোখে ক্রাইস্টচার্চ টেস্টেও টস বড় প্রভাবক হয়ে দাঁড়াবে। নতুন একটা ম্যাচ, প্রথম দিনটা গুরুত্বপূর্ণ হবে। টস জেতাটা গুরুত্বপূর্ণ হবে। আমার মনে হয়, টস জেতাটা এই টেস্টে সবচেয়ে বড় ফ্যাক্টর হয়ে দাঁড়াবে।
কারণ, নিউজিল্যান্ডে সব সময় দ্বিতীয়-তৃতীয় দিনে উইকেটটা খুবই ভাল থাকে। সে কারণে টস জিতে যদি ফিল্ডিং নেওয়া যায়, আমার মনে হয় সেটা সবচেয়ে ভালো হবে দলের জন্য’—সাকিবের বিশ্লেষণ। বাংলাদেশ ক্রিকেটের পোস্টার বয় মনে করেন ইবাদাত, তাসকিন এবং শরিফুল যদি নিজেদের স্বাভাবিক বোলিং করতে পারেন, তাহলে ক্রাইস্টচার্চে কিউইদের চেপে ধরা অসম্ভব নয়। তবে নিউজিল্যান্ড এই মুহূর্তে টেস্ট ক্রিকেটে অত্যন্ত ধারাবাহিক দল। তারা মরিয়া চেষ্টা করবে সমতা ফেরাতে। কিন্তু স্বপ্ন দেখা ছাড়তে নারাজ সাকিব।