এম এস ধোনিকে নিলামে কেনার জন্য তিনি এতটাই মরিয়া ছিলেন যে নিজের পায়জামা পর্যন্ত বিক্রি করতে প্রস্তুত ছিলেন কিং খান। বেটিং কেলেঙ্কারির জন্য চেন্নাই দু বছর আইপিএলে নিষিদ্ধ ছিল। ২০১৬ ও ২০১৭ সালে পুনে সুপারজায়ান্টসের হয়ে খেলেন ধোনি। ২০১৮ সালে চেন্নাইতে ফেরার আগে যে নিলাম হয়েছিল সেই সময়ই সুযোগ পেলে ধোনিকে নেওয়ার জন্য মরিয়া হয়েছিলেন কেকেআর মালিক।
advertisement
আরও পড়ুন - ATK Mohun Bagan Juan Ferrando: পাসিং ফুটবলে রয় কৃষ্ণদের স্টাইল বদলে দিয়েছেন মোহনবাগানের নতুন কোচ ফেরান্ডো
তখন শাহরুখ খান ধোনিকে নিয়ে এক সংবাদমাধ্যমকে বলেছিলেন ,আরে বন্ধু আমি তো ওকে আমার পাজামা বিক্রি করেও কিনে নেব। ও নিলামে তো আসুক। সত্যিই শাহরুখ খান মনে প্রানে চেয়েছিলেন ভারতের ক্রিকেট ইতিহাসের সেরা অধিনায়ক কেকেআর জার্সি গায়ে চাপান। ধোনি ২০১৮ সালে চেন্নাইতে ফিরে সেই বছরই চেন্নাইকে আইপিএল খেতাব এনে দেন।
অধিনায়ক হিসেবে তার পারফরমেন্স যেমন দুর্দান্ত ছিল, ব্যাট হাতেও গর্জে উঠেছিলেন তিনি। সে বছর ১৬ ম্যাচে ৪৫৫ রান করেন ধোনি। তার স্ট্রাইক রেট ছিল ১৫০ এর উপরে। নিষেধাজ্ঞা কাটিয়ে আইপিএলে ফিরে প্রথম বছরে চেন্নাই সুপার কিংসকে চ্যাম্পিয়ন করার মূল কারিগর ছিলেন এম এস ধোনি। ২০২২ সালে আইপিএলের জন্যও ধোনিকে ধরে রেখেছে চেন্নাই সুপার কিংস।
ফলে আইপিএলে আরো একবছর হলুদ বাহিনীকে নেতৃত্ব দেবেন দুই আইসিসি বিশ্বকাপ ও এক চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি জয়ী ভারতের প্রাক্তন অধিনায়ক। প্রসঙ্গত ২০০৮ সালের প্রথম আইপিএলের নিলামে রেকর্ড অংকের অর্থ ১১ কোটি টাকা দিয়ে তৎকালীন ভারতীয় ক্রিকেট দলের অধিনায়ক মহেন্দ্র সিং ধোনিকে কিনেছিলো চেন্নাই সুপার কিংস। তখন থেকেই কার্যত চেন্নাই সুপার কিংসের পোস্টার বয় মহেন্দ্র সিং ধোনি। এমনকি অবসর নেওয়ার পরেও সিএসকের ক্রিকেট উন্নয়নের সঙ্গে নিজেকে জড়িয়ে রাখতে চান।