প্রবল শক্তিশালী দিল্লিকে বশ মানিয়ে ১৯৮৯-৯০ মরশুমে শেষবার তাঁরাই রনজি চ্যাম্পিয়ন করেছিলেন বাংলাকে। মনোজদের হাতে রনজি ট্রফি দেখার জন্য মুখিয়ে সম্বরণ ব্যানার্জি। বাংলার শেষ রনজি জয়ী দলের অধিনায়ক বলছেন, প্রতিটি জায়গায় যোগ্য ক্রিকেটার রয়েছে। এটাই এই দলের সবচেয়ে বড় অ্যাডভান্টেজ।
advertisement
কোচ লক্ষ্মীরতন শুক্লার সঙ্গে অধিনায়ক মনোজ তিওয়ারির বোঝাপড়াও বেশ ভালো। আগেও বলেছি, বাংলার পেস আক্রমণ এই মুহূর্তে দেশের সেরা। আকাশদীপ অসাধারণ ফর্মে রয়েছে। তবে ফাইনালে আমার ঘোড়া শাহবাজ আহমেদ। উইকেট যেমনই হোক, ছেলেটা ব্রেক থ্রু দিতে পারে। শুধু তাই নয়, চাপের মুখে লড়তে পারে ব্যাট হাতেও।
স্মৃতির সরণি দিয়ে হাঁটতে হাঁটতে সম্বরণ বলছিলেন, দীর্ঘদিনের আক্ষেপ এবার মেটার সম্ভাবনা প্রবল। আমাদের সঙ্গে এই দলটার দারুণ মিল রয়েছে। আমরা যেবার চ্যাম্পিয়ন হয়েছিলাম, তার আগের বছরই কোটলায় রনজি ফাইনালে হেরেছিলাম দিল্লির কাছে। পরের বার যখন ইডেনে দেখা হল, তখনও দিল্লির স্কোয়াডে ছ’জন ভারতীয় ক্রিকেটার। আমরা তাতেও দমে যাইনি।
মনোবল বাড়াতে ম্যাচের আগের দিন পিকে ব্যানার্জিকে ড্রেসিং-রুমে এনেছিলাম। তা নিয়ে কম সমালোচনা সহ্য করতে হয়নি। জগমোহন ডালমিয়ার মতো ব্যক্তিত্বকে পাশে পেয়েছিলাম। প্রদীপদা ক্রিকেট নিয়ে কিছু বলেননি। তবে তাঁর বাচনভঙ্গিতে যে সব কাহিনী শুনিয়েছিলেন, তাতে গোটা দল দারুণ উজ্জীবিত হয়েছিল।
সৌরাষ্ট্রের ক্রিকেটারদের চোখে চোখ রেখে খেলার পরামর্শও দিলেন বাংলার রনজি জয়ী দলের ক্যাপ্টেন। তাঁর পরামর্শ, এটা ফাইনাল। বিনা যুদ্ধে এক ইঞ্চিও জমি ছাড়লে হবে না। আমার মনে পড়ে, কোটলার ফাইনালে দিল্লির ক্রিকেটাররা আমাদের ভীষণই স্লেজ করেছিল। পরেরবার ওদের তা ফিরিয়ে দিয়েছিলাম। প্র্যাকটিসের পর দিল্লির ক্যাপ্টেন কীর্তি আজাদকে বলেছিলাম, ইউ হ্যাভ টু ফেস দ্য মিউজিক।