দুই মিলিয়ন ডলারের আর্থিক তছরুপের অভিযোগ ওঠে সেপ ব্লাটার এবং মিশেল প্লাতিনির বিরুদ্ধে ৷ ফুটবল এথিকস কমিটির তদন্তে দোষী প্রমাণিত হওয়ার পর সোমবার নির্বাসনের খাঁড়া নেমে আসে ব্লাটার এবং ফান্সের প্রাক্তন অধিনায়ক প্লাতিনির উপর ৷ ১৯৯৮ সাল থেকে ফিফার প্রেসিডেন্ট পদে ছিলেন ৭৯ বছরের ব্লাটার ৷ আর্থিক দুর্নীতিতে নাম জড়িয়ে যাওয়ার পর চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি মাসে প্রেসিডেন্ট নির্বাচন থেকে নিজের নাম তুলে নেন ব্লাটার ৷ অন্যদিকে, তিনবার ইউরোপের বর্ষসেরা ফুটবলারের সম্মান জয়ী মিশেল প্লাতিনি ২০০৭ সাল থেকে রয়েছেন উয়েফার গভর্নিং কমিটিতে ৷ অভিযোগ, ওরা দু’জন নিজেদের পদের অনৈতিক ফায়দা তুলে প্রায় দু’মিলিয়ন ডলার অর্থ তছরুপ করেছেন ৷
advertisement
ব্লাটার এবং প্লাতিনি দুজনেই দাবি করেছেন, ওই দু’মিলিয়ন ডলার মোটেও অনৈতিক ভাবে বিনিময় হয়নি ৷ নিজেদের স্বপক্ষে যুক্তি দেখিয়ে তাঁরা বলেছেন, ১৯৯৮ থেকে ২০০২ সালের মধ্যে প্লাতিনি টেকনিক্যাল অ্যাডভাইজার হিসেবে ব্লাটারের সঙ্গে কাজ করতেন ৷ সেই সময়ের মৌখিক চুক্তির ভিত্তিতেই পারিশ্রমিক হিসেবে ওই টাকা ব্লাটার প্লাতিনিকে দেন ৷ সুইস আইন অনুযায়ী, মৌখিক প্রতিশ্রুতিকেও চুক্তি হিসেবে দেখা হয় ৷ তাই এই আর্থিক বিনিময় কোনওভাবেই বেআইনি নয়, দাবি প্লাতিনি ও ব্লাটারের ৷ অন্যদিকে, ফুটবল এথিকস কমিটির তদন্তকারীরা তা মানতে নারাজ ৷ ব্লাটার ও প্লাতিনির বিরুদ্ধে স্বার্থের সংঘাত, ভুয়ো হিসাব এবং অসহযোগিতার অভিযোগ তুলে এর আগেই ৫০ পাতার একটি তদন্ত রিপোর্ট জমা দেয় সংস্থার তদন্তকারী আধিকারিকরা ৷ এর ভিত্তিতেই এদিন ঘোষিত হয় নির্বাসনের নির্দেশ ৷ এরই সঙ্গে ব্লাটার এবং প্লাতিনিকে ৪০ হাজার ডলার এবং ৮০ হাজার ডলার আর্থিক জরিমানাও করা হয়েছে ৷ ব্লাটারের মুখপাত্র জানান, এই নির্দেশের বিরুদ্ধে লজাঁনের কোর্ট অফ আরবিট্রেশন ফর স্পোর্ট-এ যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন ব্লাটার এবং প্লাতিনি ৷ নির্বাসনের নির্দেশের শুনে ব্লাটার বলেন, এটা তাঁর এবং ফিফা দু’জনের জন্যই কালো দিন ৷ আন্তর্জাতিক ফুটবলের এই দুই শক্তিশালী শাসকের একই সঙ্গে নির্বাসনের খবরে হতভম্ব ফুটবল বিশ্ব৷