এখন অবশ্য একটি উদ্বেগজনক বিষয় সামনে এসেছে। অনেক তরুণ বয়সের মানুষই আজকাল এমন গুরুতর রোগে আক্রান্ত হচ্ছেন, যেগুলো আগে শুধুমাত্র বৃদ্ধ বয়সে দেখা যেত।
কেন ঘটছে এমন? অস্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস, মানসিক চাপ, ঘুমের অভাব, ব্যায়ামের অভাব, পর্যাপ্ত বিশ্রামের ঘাটতি, অতিরিক্ত স্ক্রিন টাইম ও লাইফস্টাইল ডিজঅর্ডার-এর মতো ব্যাপারগুলিকেই দায়ী করছেন চিকিৎসকরা।
সাডেন কার্ডিয়াক অ্যারেস্ট (Sudden Cardiac Arrest – SCA) বা হঠাৎ হৃদযন্ত্রের গতি বন্ধ হওয়া একটি গুরুতর মেডিকেল এমার্জেন্সি। এতে হঠাৎ করেই হৃদযন্ত্র কাজ করা বন্ধ করে দেয়। যদি তাৎক্ষণিক CPR (Cardiopulmonary Resuscitation) বা চিকিৎসা না দেওয়া হয়, তবে মাত্র কয়েক মিনিটেই মৃত্যুর ঝুঁকি তৈরি হয়।
advertisement
আরও পড়ুন- ‘মা হচ্ছি আমি’, বিয়ের আগেই ভিভকে জানান নীনা! ভিভের জবাব যা ছিল, আশাই করেননি
সাডেন কার্ডিয়াক অ্যারেস্টে ঠিক কী ঘটে? হৃদপিণ্ডের ইলেকট্রিক্যাল সিস্টেমে সমস্যা দেখা দেয়। এর ফলে হৃদপিণ্ড রক্ত পাম্প করা বন্ধ করে দেয়। ফলে মস্তিষ্ক, ফুসফুস ও অন্যান্য অঙ্গপ্রত্যঙ্গে অক্সিজেন সরবরাহ বন্ধ হয়ে যায়। কয়েক সেকেন্ডের মধ্যেই রোগী অচেতন হয়ে পড়ে, এবং যদি ২–৩ মিনিটের মধ্যে চিকিৎসা না দেওয়া হয়, তবে মৃত্যু অনিবার্য।
লক্ষণ (Symptoms)
হঠাৎ অজ্ঞান হয়ে পড়া, নাড়ি (pulse) না পাওয়া, শ্বাস বন্ধ হয়ে যাওয়া। এই সমস্ত অসুখ হঠাৎ হৃদস্পন্দন বন্ধ হয়ে যাওয়া (Sudden Cardiac Arrest – SCA)-র পেছনে বড় কারণ হতে পারে।
কী বলেছে ICMR ও AIIMS?
ভারতের শীর্ষস্থানীয় স্বাস্থ্য গবেষণা সংস্থা ICMR (Indian Council of Medical Research) এবং AIIMS (All India Institute of Medical Sciences) এর রিপোর্ট অনুযায়ী, “কোভिড ভ্যাকসিন ও হার্ট অ্যাটাক বা স্ট্রোকের মধ্যে কোনও সরাসরি সংযোগ নেই।” তাদের গবেষণায় দেখা গেছে, হার্টের রোগ বৃদ্ধির পিছনে মূলত দায়ী কোভিড সংক্রমণের পর শরীরে হওয়া প্রদাহ (inflammation)।