এস সি ইস্টবেঙ্গল -০
গোয়া: ইস্টবেঙ্গল নিজেদের চেনা জগতে আবার ফিরে এসেছে। মাঝে বেশ কিছু ম্যাচ লড়াই করে অন্তত ড্র করতে দেখা গিয়েছিল লাল হলুদকে। কিন্তু এখন আবার ইস্টবেঙ্গল হারের সঙ্গে ঘর করছে। হতাশার কানা গলিতে আবার ঢুকে গেছে দলটা। শেষ ম্যাচে ওড়িশার বিরুদ্ধে হারতে হয়েছিল। আজ কেরল ব্লাস্টার্স দলের কাছে মাত্র এক গোলে হেরে লিগ টেবিলে দশ নম্বরে থাকলে লাল হলুদ।আইএসএল-এ এর আগে তিন বারের সাক্ষাতে তাদের বিরুদ্ধে ড্র করেছিল লাল-হলুদ বাহিনী।
advertisement
কিন্তু সোমবার আবার হারতে হল তাদের। এনেস সিপোভিচের একমাত্র গোলে এসসি ইস্টবেঙ্গল হারল ০-১ ব্যবধানে। সোমবার প্রথম থেকেই এসসি ইস্টবেঙ্গলকে একটু নড়বড়ে লাগছিল। সে ভাবে কোনও আক্রমণ তুলতেই পারছিল না তারা। উল্টে কেরল কিন্তু বেশ কিছু পজিটিভ আক্রমণ করেছিল। কিন্তু ইস্টবেঙ্গলের গোলকিপার শঙ্কর রায়ের দক্ষতায় বেঁচে যায় তারা। ২৯ মিনিটের মাথায় সুযোগ তৈরি করেছিলেন আদ্রিয়ান লুনা।
তাঁর মুভ আটকে দেন হীরা মন্ডল। বল যায় সাহাল সামাদের কাছে। কিন্তু লক্ষ্যভ্রষ্ট হন তিনি। প্রথমার্ধ শেষ হওয়ার আগে সুবর্ণ সুযোগ নষ্ট করে এসসি ইস্টবেঙ্গল। ডানদিক থেকে বল নিয়ে স্টেপ ওভার করে কেরলের ডিফেন্ডারকে কাটিয়ে বক্সে ঢুকে পাস বাড়ান। কিন্তু রাহুল পাসোয়ান বলে পা ছোঁয়াতেই পারেননি। দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতেই এগিয়ে যায় কেরল। পটিয়ার কর্নার থেকে ইস্টবেঙ্গলের ডিফেন্ডারদের টপকে হেডে গোল করেন এনেস সিপোভিচ।
সঙ্গে সঙ্গে তাঁর ‘পুষ্পা ডান্স’ দেখা যায়। দক্ষিণী সিনেমার নাচের অনবদ্য অনুকরণ করে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেন তিনি। এসসি ইস্টবেঙ্গলের ডিফেন্ডারদের তখন নিজেদের দোষ দেওয়া ছাড়া আর কিছু করার ছিল না। কারণ সিপোভিচকে অন্তত দু’-তিন জন ডিফেন্ডার মার্ক করেছিলেন। কিন্তু সবাইকে টপকে গোল করে যান বসনিয়ার সিপোভিচ।
হতাশ করলেন ফ্রান সোতা। এমনিতে তাঁকে নেওয়ার সময়েই প্রশ্ন তুলেছিলেন অনেক সমর্থক থেকে ফুটবল বিশেষজ্ঞ। ৮২ মিনিটে তাঁর সামনে নায়ক হয়ে ওঠার সুযোগ ছিল। একের বিরুদ্ধে এক অবস্থায় বল পেয়ে গিয়েছিলেন। সামনে শুধু ছিলেন গোলকিপার।
কিন্তু বারের বেশ কিছুটা দূর দিয়ে শট উড়ে যায়। সাইডলাইনের ধারে মাথায় হাত দিয়ে বসে পড়েন কোচ মারিয়ো রিভেরাও। হাতে বাকি রইল আর তিনটি ম্যাচ। দেখা যাক অন্তত একটি জিতে শেষ করতে পারে কিনা লাল-হলুদ বাহিনী।