দলের সহ-অধিনায়ক অস্ট্রেলিয়ার টমিস্লাভ মার্সেলা ( Tomislav Mrcela) মনে করেন ১৫ মিনিটেই খেলার ভাগ্য নির্ণয় হয়ে গিয়েছিল। কিন্তু তারা লড়াই করেছেন। অভিজ্ঞতায় এবং ফিনিশিংয়ের ক্ষেত্রে পিছিয়ে ছিল দল। বড় ম্যাচে এমন কঠিন প্রতিপক্ষের বিপক্ষে ছোট ভুল বড় হয়ে যায়। তবে তিনি মনে করেন আগামী তিন দিনের ভেতর ওড়িশার ( Odisha FC) বিপক্ষে প্রস্তুতি নিতে হবে তাদের। ডার্বি ভুলে যেতে হবে দ্রুত। এই ম্যাচ নিয়ে ভেবে কিছু আর পাওয়া যাবে না।
advertisement
পাশাপাশি লাল হলুদের স্প্যানিশ কোচ ম্যানুয়েল দিয়াজ ( Manolo Diaz) মেনে নিয়েছেন প্রতিপক্ষের চেয়ে পিছিয়েই ছিল তাঁর দল। ফুটবলারদের একাধিক ভুলেও বিপক্ষের জয় পেতে সুবিধা হয়েছে বলে স্বীকার করেছেন তিনি। দিয়াজের কথায়, আমাদের বিরুদ্ধে খুবই ভাল একটা দল নেমেছিল, যারা প্রতিপক্ষ হিসেবে বেশ কঠিন। ফলে পরিকল্পনা অনুযায়ী খেলাই কঠিন হয়ে ওঠে। ফুটবলাররা একাধিক গুরুতর ভুল করেছেন। এরকম দুর্দান্ত ও বিপজ্জনক দলের বিরুদ্ধে যে ভুলগুলি করা চলে না। আমরা আমাদের খেলাই খেলতে পারিনি।
তিন দিনের মধ্যেই পরের ম্যাচে ওডিশার বিরুদ্ধে নামতে হবে আমাদের। সেই ম্যাচে ভাল খেলতেই হবে। এটিকে মোহনবাগানের তিনটি গোলের পিছনেই অবদান ছিল হুগো বুমোসের, তাঁকে আটকাতেই পারেনি লাল হলুদ। না ছিল ম্যান মার্কিং, না জোনাল মার্কিং। ছন্নছাড়া ফুটবল। দিয়াজ এ প্রসঙ্গে বলেন, প্রতিপক্ষের ফুটবলারদের সঙ্গে আমাদের খেলোয়াড়দের দূরত্ব সব সময়ই ছিল। বুমোসের ক্ষেত্রেও ব্যাপারটা সেটাই হয়েছে। আমরা সমর্থকদের কষ্টটা বুঝতে পারছি। তবে এই মুহূর্তে এটিকে মোহনবাগান ও এসসি ইস্টবেঙ্গলের মধ্যে অনেকটা ফারাক আছে, এটা মানতেই হবে।
কোচ হিসেবে আমার কাজ ছেলেদের হতাশ হতে না দেওয়া। আমরা লড়াই করতে এসেছি। আশা করি পরের ম্যাচে দল উন্নতি করবে। সমর্থকদের পাশে চাই। সোশ্যাল মিডিয়ায় সমর্থকরা কোচের দল নির্বাচন থেকে শুরু করে ফর্মেশন তৈরি নিয়েও ক্ষোভ উগরে দিচ্ছেন। সেসব গায়ে মাখতে রাজি নন ইস্টবেঙ্গল ম্যানেজার ডিয়াজ। সারা বিশ্বেই সমর্থকরা আঘাত পেলে এমন হতাশা ব্যক্ত করেন জানা কথা। সব জেনেই তিনি ভারতে কোচিং করতে এসেছেন। আপাতত ডার্বির হতাশা ভুলে ওড়িশা ম্যাচ থেকে তিন পয়েন্ট টার্গেট লাল-হলুদের।