ওড়িশা এফসি - ২
#গোয়া: সোমবার ওড়িশার বিরুদ্ধে যেকোনো মূল্যে তিনটে পয়েন্ট নিয়ে মাঠ ছাড়া ছিল ইস্টবেঙ্গলের একমাত্র লক্ষ্য। এসসি ইস্টবেঙ্গল কার্যত সেরা চারের দৌড় থেকে বেরিয়ে গিয়েছে। এই অবস্থায় দলের ছেলেদের উজ্জীবিত রাখছেন কী ভাবে? এই প্রশ্নের উত্তরে মারিয়ো জানিয়েছিলেন, ফুটবলাররা সবাই পেশাদার। ওরা সব ম্যাচেই জিততে চায়। সেরা পারফরম্যান্স দেখিয়ে প্রমাণ করতে চায় নিজেদের। লিগ তালিকায় এখন যে অবস্থানে রয়েছি আমরা, সেটা ওদের সঠিক জায়গা নয়। পরের ম্যাচে জয়ের খিদে নিয়েই নামবে ওরা।
advertisement
এটাই ওদের কাছে সবচেয়ে বড় অনুপ্রেরণা। আমার কাজটা হচ্ছে ওদের পথ দেখানো। প্রথম পর্বের সাক্ষাতে ৬ গোল খাওয়ার ক্ষত এখনও দগদগে। দ্বিতীয় পর্বে ওড়িশা এফসি-র মুখোমুখি হওয়ার আগে ভুলত্রুটি শুধরে নামতে চেয়েছিল এসসি ইস্টবেঙ্গল। কোচ মারিয়ো রিভেরা আগের ম্যাচের ভিডিয়ো দেখেছেন। একই ভুল দু’বার করতে চাইবেন না তিনি জানা ছিল।
২৩ মিনিটে গোল হজম করতে হল লাল হলুদকে। রক্ষণের ভুল। ডানদিক থেকে অনায়াসে ডিফেন্ডারদের কাটিয়ে বল বাড়ালেন জাভি। চলতি বলে গোল জোনাথাসের। নওচা সিং এদিন প্রথম নামলেন ইস্টবেঙ্গলের লেফট ব্যাক পজিশনে। প্রথমার্ধে ওই একটা ভুল ছাড়া নজর কাড়লেন এই ছেলেটি। ইস্টবেঙ্গল সুযোগ পেলে আক্রমণ করছিল। পেরসোভিচ, আঙ্গুসানা, মার্সেলো, মহেশ আক্রমণ তুলে আনলেও ফিনিশিং করতে পারলেন না।
দেখার ছিল বিরতির পর ইস্টবেঙ্গল ঘুরে দাঁড়াতে পারে কিনা?৬০ মিনিটে তিনটি পরিবর্তন নিলেন মারিও রিভেরা। হানামতে, ফ্রান্সিস্কো এবং রাজু একসঙ্গে মাঠে নামলেন। ৬৪ মিনিটে গোল গোল শোধ করে দিল ইস্টবেঙ্গল। ফ্রানজ তলা থেকে একটা দুরন্ত বল বাড়ালেন। পেরসোভিচ বাঁদিক থেকে দুরন্ত ফিনিশ করেন। মনে হয়েছিল এরপর হয়তো জয়সূচক গোল তুলে নেবে ইস্টবেঙ্গল।
কিন্তু মুহূর্তের ভুলে আমার হজম করতে হল দ্বিতীয় গোল। ৭৫ মিনিটে জনাথস থেকে বল পেয়ে জাভি হার্নান্দেজ ডান পায়ে শট নিলেন। একজন ইস্টবেঙ্গল ডিফেন্ডারর পায়ে লেগে বল জড়িয়ে গেল জালে। ফ্রান্সিস্কো এবং মার্সেলো শেষ পর্যন্ত থেকেও কিছু করতে পারলেন না। গোল করে এবং করিয়ে ম্যাচের সেরা ওড়িশার জাভি হার্নান্দেজ। ১৬ ম্যাচে ১০ পয়েন্ট নিয়ে ইস্টবেঙ্গল থাকল দশ নম্বরে।