মনিপুরী ফুটবলারকে দুই প্রাক্তন গুরু সব সময় শিখিয়েছেন মাঠে ৯০ মিনিটের লড়াইয়ে বিপক্ষকে ১ ইঞ্চি জমি না ছাড়তে। বিপক্ষ যতই শক্তিশালী হোক, নিজেদের দুর্বলতা প্রকাশ না করতে। স্প্যানিশ কোচ ডিয়াজ বিদায় নেওয়ার পর থেকে দুটি ম্যাচে সেটাই প্রমাণ করেছে রেনেডির দল। বেঙ্গালুরুর বিরুদ্ধে এগিয়ে গিয়েও জিততে পারেনি। টুর্নামেন্টের সবচেয়ে আক্রমনাত্মক মুম্বই সিটি এফসির বিরুদ্ধেও লড়াই করে ড্র করেছে ইস্টবেঙ্গল।
advertisement
শেষদিকে জয়ের লক্ষ্যে জ্যাকি এবং বলোবন্তকে নামিয়েছিলেন রেনেডি। জয় আসেনি। কিন্তু ইস্টবেঙ্গল প্রমাণ করেছে এখন তাদের হারানো অত সহজ নয়। ম্যাচের পর রেনেডি জানিয়েছেন দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে তিনি নিশ্চিত ছিলেন দলের শেপ এবং স্ট্রাকচার সঠিক রাখতে পারলে সহজে গোল হজম করতে হবে না। সেটাই ছেলেদের সঙ্গে প্র্যাকটিসে বারংবার মহড়া দিয়েছিলেন।
আক্রমণ এবং রক্ষণ যেটাই হোক, দল হিসেবে করতে হবে। মিডফিল্ড ফাঁকা রাখা যাবে না। বিপক্ষ মাঝখানে জায়গা না পেলেই অস্থির হয়ে উঠবে। তখনই আক্রমণের ধার বাড়াতে যাবে। আর সেই সুযোগে ইস্টবেঙ্গলের সামনে চলে আসতে পারে কাউন্টার আক্রমণের রাস্তা। মনিপুরীর এই ছকেই গত দুটো ম্যাচে দুই পয়েন্ট সংগ্রহ করেছে ইস্টবেঙ্গল।
তাদের ভাগ্য খারাপ যোগ্য স্ট্রাইকার নেই দলে। মুম্বইয়ের বিরুদ্ধে শেষ ম্যাচ খেলে ফেলেছেন ড্যানিয়েল চিমা। তার হাতে বিদেশে ফিরে যাওয়ার টিকিট ধরিয়ে দেওয়া হয়েছে। তাড়াতাড়ি একজন বিদেশি স্ট্রাইকার নিয়ে আসতে চলেছে লাল হলুদ। শুধু আনলেই হবে না। ভারতের পরিস্থিতি, নিভৃত বাস এবং দলের খেলার স্টাইল মানিয়ে নেওয়ার জন্য বেশ কয়েক দিন সময় দিতে হবে।
আর সম্ভবত একটি ম্যাচ। তারপরেই দলের দায়িত্ব নেবেন মারিও রিভেরা। কোয়ারেন্টাইন কাটিয়ে প্র্যাকটিসে যোগ দেবেন তিনি। তার কথাতেই আনা হচ্ছে নতুন স্ট্রাইকার। রেনেডি দায়িত্ব থেকে নামেই সরবেন। মারিওকে ইনপুট দেওয়া এবং সাহায্য করার জন্য থাকবেন তিনি। ইস্টবেঙ্গলের পক্ষে কিছুটা স্বস্তির খবর সুস্থ হয়ে উঠেছেন ডাচ ফুটবলার ড্যারেন সিডল।
আমির ডেরভিসেভিচকে ছেড়ে দিতে চাইছে টিম ম্যানেজমেন্টের একটা অংশ। কিন্তু তার বদলি আনতে রাজি নাও হতে পারে ইনভেস্টর। কারণ আইএসএল শেষ হলেই তারা দায়িত্ব ছাড়বে। তাই নতুন বিদেশি মিডিও এনে খরচ বাড়াতে চাইবে না তারা। আগামী মঙ্গলবার জামশেদপুর এফসির বিরুদ্ধে ম্যাচ রয়েছে ইস্টবেঙ্গলের।
জামশেদপুর দলেও স্টুয়ার্ট, পিটার হার্টলী, জর্ডান মারে, লিমার মত বিদেশি রয়েছে। কোচ ওয়েন কয়েল টুর্নামেন্টের অন্যতম সেরা ম্যানেজার। দলটা দুরন্ত ছন্দে রয়েছে। কিন্তু রেনেডি এবং তার ছেলেরা ভয় পেতে নারাজ। এবার শুধু ডিফেন্স নয়, আক্রমণ করে গোল করার রাস্তা ঝালিয়ে নিতে চায় ইস্টবেঙ্গল। আসলে দুটো ড্র লাল-হলুদ শিবিরে নতুন অক্সিজেন দিয়েছে।