ইতিমধ্যেই তাঁর নামের সঙ্গে জুড়ে গিয়েছে ইংলিশ চ্যানেল, রটনেস্ট, ক্যাটারিনা চ্যানেল জয়ের সম্মান। সফল হলে এশিয়ার প্রথম মহিলা হিসেবে তিনিই হাওয়াই দ্বীপপুঞ্জের মলোকাই চ্যানেল পার হবেন। সেই কঠিন বাধা অতিক্রমের লক্ষ্যে পড়তে হবে শার্ক শিল্ড। ভয়ঙ্কর সব জলজ প্রাণী রয়েছে এই চ্যানেলে।
আরও পড়ুন- আইপিএলের এই নিয়ম বোকা বোকা! কোন নিয়মের বিপক্ষে মাহেলা জয়বর্ধনে?
advertisement
পরিবেশ পরিস্থিতি খতিয়ে দেখার পর আজ সায়নীর সফরসূচী চূড়ান্ত করে চ্যানেল কর্তৃপক্ষ। দীর্ঘদিন ধরেই এই চ্যানেল জয়ের জন্য অনুশীলন চালাচ্ছিলেন সায়নী। পুরীর সমুদ্রের পর ভাগীরথীতে সাঁতার কেটেছেন দিনের পর দিন। কালনার জলকন্যা সায়নী দাস গত ২৭ মার্চ মলোকাই চ্যানেল পার করার উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছিলেন।
মলোকাই জয় করলে এশিয়ার প্রথম মহিলা সাঁতারু হিসেবে নাম লেখা হবে ইতিহাসের পাতায়। ২০২০-র সেপ্টেম্বরে মলোকাই চ্যানেলে নামার কথা ছিল সায়নীর। চ্যানেল কর্তৃপক্ষের চূড়ান্ত সম্মতিও মিলেছিল। সারা হয়ে গিয়েছিল সমস্ত প্রস্তুতিও। কিন্তু করোনা আবহের জেরে বাতিল করতে হয় সেই কর্মসূচি।
২০১৭, ২০১৮, ২০১৯-এ তিনি অতিক্রম করে ফেলেছেন ইংলিশ চ্যানেল, রটনেস্ট চ্যানেল আর ক্যাটালিনা চ্যানেল। তবে এবারের চ্যালেঞ্জ যথেষ্ট কঠিন। পদে পদে রয়েছে জলজ প্রাণীদের মুখোমুখি হওয়ার ঝুঁকি। তবে সব সামলে সফল হওয়ার ব্যাপারে যথেষ্টই প্রত্যয়ী কালনার জলকন্যা। তাঁর সাফল্যের খবর পেতে উদগ্রীব পরিবার পরিজনেরা।
আরও পড়ুন- ঋদ্ধিমান সাহার রহস্যময় টুইট! আবার কাকে টার্গেট করলেন বাংলার ক্রিকেটার!
হাওয়াই দ্বীপপুঞ্জের থেকে ৪৪ কিমি দূরত্বের এই চ্যানেল পার হওয়া বেশ কঠিন চ্যালেঞ্জ। প্রশান্ত মহাসাগরের মলোকাই চ্যানেল পার হওয়ার অন্যতম সমস্যা জলের ভিতরে হাঙরের মতো ভয়ঙ্কর জলজ প্রাণীর আনাগোনা ও কারেন্ট। এসব কারণেই ইচ্ছে থাকলেও বহু সাঁতারুই মলোকাই চ্যানেলে নামতে চান না। সেই কঠিন অভিযান শুরু করে দিয়েছেন সায়নী।