সাতগেছিয়ার সাথীর বাবা শ্যামল মন্ডল টোটো চালান, মা রুপালি মন্ডল নার্সিংহোমে আয়ার কাজ করেন। ছোটবেলা থেকেই সাথী নানা প্রতিযোগিতায় অংশ নিয়ে একের পর এক পুরস্কার এনেছে। কিন্তু এই গর্বের মুহূর্তগুলোর পেছনে লুকিয়ে রয়েছে কঠিন লড়াইয়ের ইতিহাস। বলাগড় বিজয় কৃষ্ণ মহাবিদ্যালয়ের দ্বিতীয় বর্ষের ফিজিক্যাল এডুকেশনের ছাত্রী সাথী এখনও একটা ছোট, ভাঙাচোরা ঘরের মধ্যেই প্রতিদিন যোগাসনের চর্চা করেন। সেই ঘরের দেওয়াল জুড়ে রয়েছে তার অর্জিত অসংখ্য মেডেল ও ট্রফি। যেগুলি শুধু তার সাফল্যের স্মারক নয়, বরং বড় একটা স্বপ্নকেও বহন করে। সাথী মণ্ডল জানিয়েছেন,”স্বপ্ন রয়েছে দেশের হয়ে প্রতিনিধিত্ব করার। এখন প্রতিদিন আমি অনুশীলন চালিয়ে যাচ্ছি। আর্থিক অভাব তো রয়েইছে। তবে জানিনা এরপর কি হবে।”
advertisement
এশিয়ান গেমসে অংশ নিতে গেলে খরচ হতে পারে মোটা টাকা। সেই টাকা কোথা থেকে আসবে, তা ভেবে রাতে ঘুম আসে না সাথীর পরিবারের। পুষ্টিকর খাবার তো দূরের কথা, অনেক সময় প্র্যাকটিসের জন্য প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র জোগাড় করাও সম্ভব হয় না তাদের পক্ষে। তবুও সাথীর মা-বাবা অক্লান্তপরিশ্রম করে মেয়েকে এগিয়ে নিয়ে যেতে চান। মেয়ের পাশাপাশি পরিশ্রম চালিয়ে যাচ্ছেন অভিভাবকরাও। সাথীর মা রূপালি মণ্ডল জানিয়েছেন, “মেয়েকে ভাল খাবার খাওয়াতে পারিনা, কোনও জিনিস প্রয়োজন হলে সবসময় সেটা কিনেও দিতে পারিনা। অভাবের সংসার কষ্ট করে দিন চলে। তবে আমরা আমাদের সাধ্য মত চেষ্টা করে যায়। কিন্তু এই আর্থিক দুরবস্থায় এখন বড় সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে।”
আরও পড়ুনঃ KKR News: চাকরি যাচ্ছে কেকেআর কোচের? নতুন কোচ হচ্ছেন বিশ্বজয়ী অধিনায়ক! বড় চমক দেবে নাইটরা!
বর্তমানে কেউ যদি সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেন, তাহলে হয়ত সাথীর প্রতিভা থেমে যাবে না এই জায়গায়। একটুখানি সহযোগিতা সাথীর স্বপ্নপূরণের সিঁড়ি হয়ে উঠতে পারে। এখন প্রতিদিন সকাল বিকাল অনুশীলন চালিয়ে যাচ্ছে সাথী। দেশের হয়ে প্রতিনিধিত্ব করার জন্য চলছে তার কঠোর পরিশ্রম।
বনোয়ারীলাল চৌধুরী