‘দ্য টাইমস অফ ইন্ডিয়া’- তে প্রকাশিত একটি প্রতিবেদন অনুযায়ী, শনিবার সেই সময় লিওনেল মেসির সঙ্গেই ছিলেন তাঁর ভারত সফরের মূল উদ্যোক্তা শতদ্রু দত্ত৷ কিছুক্ষণের মধ্যেই মেসি এবং তাঁর সঙ্গী ফুটবলারদের সঙ্গে হায়দ্রাবাদ উড়ে যাওয়ার কথা ছিল শতদ্রুর৷ কিন্তু ঠিক তখনই বিমান থেকে শতদ্রুকে নেমে আসতে বলেন বিমানবন্দরের শীর্ষ আধিকারিকরা৷ কারণ ততক্ষণে বিধাননগর পুলিশ কমিশনারেটের পক্ষ থেকে শতদ্রু দত্তকে আটকানোর জন্য বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষের কাছে বার্তা চলে এসেছে৷
advertisement
ওই প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বেলা ১২.২৫ মিনিটে কলকাতা বিমানবন্দরে পৌঁছন শতদ্রু দত্ত৷ সিকিউরিটি চেকিং সহ সব প্রক্রিয়া মিটিয়ে বেলা ১২.৪০ মিনিটে চার্টার্ড বিমানে ওঠেন তিনি৷ সেই সময়ই বিমানবন্দরে পৌঁছে যান রাজ্য পুলিশের ডিজি রাজীব কুমার৷ যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গনে তাণ্ডবের কারণে শতদ্রু দত্তকে শহর ছাড়তে নিষেধ করেন তিনি৷
শেষ পর্যন্ত বেলা একটা নাগাদ বিমান থেকে নামিয়ে আনা হয় শতদ্রু দত্তকে৷ বিমানবন্দরের টারম্যাকেই একটি গাড়ির ভিতরে বসিয়ে রাখা হয় তাঁকে৷ সূত্রের খবর, টিকিটের দাম ফেরত দেওয়ার ব্যবস্থা করা হবে বলে প্রথমে পুলিশকে বোঝানোর চেষ্টা করেন শতদ্রু৷ লিওনেল মেসির বাদবাকি সফরের জন্য তাঁরও হায়দ্রাবাদ এবং মুম্বইয়ে যাওয়া প্রয়োজন বলে দাবি করেন শতদ্রু৷ যদিও তাঁর কোনও যুক্তিই শুনতে চায়নি পুলিশ৷
শেষ পর্যন্ত শতদ্রু দত্তকে বাদ দিয়েই বেলা ২.৩৪ নাগাদ মেসি সহ বাকিদের নিয়েই হায়দ্রাবাদের উদ্দেশ্যে উড়ে যায় চার্টার্ড বিমান৷ এর পর জিজ্ঞাসাবাদের পর শতদ্রু দত্তকে গ্রেফতার করে বিধাননগর পুলিশ৷ এ দিন আদালতে পেশ করা হলে তাঁকে ১৪ দিনের জেল হেফাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেন বিচারক৷
