অস্ট্রেলিয়ান ওপেনেরে মিক্সড ডাবলসের ফাইনালে ব্রাজিলীয় জুটির কাছে হারতে হয়েছে সানিয়া মির্জা ও রোহন বোপান্না জুটিকে। খেলার ফল ৬-৭ (২-৭), ২-৬। কেরিয়ারের শেষ গ্র্যান্ড স্ল্যামে রানার্স হয়ে সন্তুষ্ট থাকতে হলেও প্রাপ্তির ভাঁড়ার কিন্তু কম নয় সানিয়া মির্জার। ৪ বছরের ছেলের সামনে গ্র্যান্ড স্ল্যাম ফাইনাল ও কেরিয়ারের শেষ গ্র্যান্ড স্ল্যাম ম্যাচ খেলার অভিজ্ঞতাই আলাদা 'মা' সানিয়ার কাছে। গোটা ম্যাচ জুড়ে ৪ বছরের ইজহান মির্জা মালিক সমর্থন করে গেলেন তার মাকে। আর নিজের বয়স ৩৬ ও পার্টনারের ৪২। এই বয়সে গ্র্যান্ড স্ল্যাম রানার্স হওয়াটাও মুখের কথা নয়।
advertisement
ম্যাচ শেষে কথা বলার সময় বারবার গলা ধরে আসছিল সানিয়ার। নিজে কাঁদলেন ও কাঁদালেন তাঁর কোটি কোটি ফ্যানেদের। সানিয়া বলেন,'আমি কাঁদছি। এটা আসলে খুশি অশ্রু। চাইলে আরও গোটা দুয়েক প্রতিযোগিতা খেলতেই পারতাম। ২০০৫ সালে মেলবোর্ন থেকেই টেনিস যাত্রা শুরু করেছিলাম। তখন আমার বয়স ছিল ১৮। সেরিনা উইলিয়ামসের সঙ্গে খেলেছিলাম। আমার জীবনে রড লেভার এরিনার আলাদা জায়গা রয়েছে। গ্র্যান্ড স্ল্যাম কেরিয়ার শেষ করার জন্য এর থেকে ভাল জায়গা আমার কাছে নেই। সবকিছুর জন্য ধন্যবাদ।'
আরও পড়ুনঃ Lionel Messi: বরফে ঘেরা পুলের জলে উষ্ণতার খোঁজে মেসি, আল্পসে ভাইরাল লিও-আন্তোনেলার রোম্যান্স
প্রসঙ্গত, সানিয়া মির্জা সিঙ্গেলস খেলা ছেড়ে দিয়েছিলেন ২০১৩ সালে। সিঙ্গলসে তার শীর্ষ র্যাঙ্ক ছিল ২৭। তবে ডাবলস ও মিক্সড ডাবলসেই বেশি সফল সানিয়া। সানিয়া মির্জা প্রায় ৯১ সপ্তাহ ধরে ডাবলসে এক নম্বরে ছিলেন। ২০১৫ সালে, সানিয়া মির্জা-মার্টিনা হিঙ্গিস জুটি বেঁধে টানা ৪৪টি ম্যাচ জিতেছিলেন। ভারতের একমাত্র মহিলা টেনিস খেলোয়ার হিসেবে গ্র্যান্ডস্ল্যাম জিতেছেন সানিয়া। তার ঝুলিতে রয়েছে তিনটি ডাবলস ও তিনটি মিক্সড ডাবলস। মিক্সড ডাবলস ২০০৯ সালে অস্ট্রেলিয়ান ওপেন, ২০১২ সালে ফ্রেঞ্চ ওপেন এবং ২০১৪ সালে ইউএস ওপেন জিতেছিলেন মির্জা। মহিলাদের ডাবলসে, ২০১৫ সালে উইম্বলডন এবং ইউএস ওপেন, ২০১৬ সালে অস্ট্রেলিয়ান ওপেনের খেতাব জিতেছিলেন তিনি। এশিয়ান গেমস, কমনওয়েলথ গেমসেও পদক জিতেছেন সানিয়া।