সাক্ষীর ইতিহাসের পর এটাই ছিল মালিক পরিবারের ছবি। মেয়ের সাফল্যে আত্মহারা প্রত্যেকেই ৷ রোহতাক থেকে রিও। দূরত্বের নিরিখে অনেক দূর। তবুও মেয়ের জয়ের পর চওড়া টেলিভিশনেই মেয়েকে ছুঁয়ে ফেললেন মা। ‘‘ছোটি কোনওদিন হারতে পারে না...’’ বাড়িতে এই নামেই ডাকা হয় সাক্ষীকে। সেই বিশ্বাস নিয়েই বুধবার ঠায় টিভির দিকে তাকিয়ে ছিলেন সাক্ষীর মা। মেয়ে জেতার পর খানিকক্ষণের জন্য আনন্দে বিহ্বল গোটা পরিবারই। মিস্টি, বাজি আর রঙে মিশে গেল হোলির সঙ্গে দীপাবলি। রাখির সেরা উপহার দিল বোন। এমনটাই দাবি দাদা সচিনের।
advertisement
রাজ্যকে গর্বিত করেছেন ২৩ বছরের সাক্ষী। তাই আড়াই কোটি টাকা নগদ পুরস্কারের সঙ্গে ইতিমধ্যে চাকরির কথাও ঘোষণা করেছেন হরিয়ানার মুখ্যমন্ত্রী মনোহর লাল খট্টর। এছাড়া ব্রোঞ্জ পদক জিতলে ২০ লক্ষ টাকা দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছিল ভারতীয় অলিম্পিক সংস্থা। সেটাও পাচ্ছেন সাক্ষী।
তাদের কোনও কর্মী ব্রোঞ্জ পদক জিতলে ৫০ লক্ষ টাকা দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছিল রেল। রেলের কর্মী হওয়ায় সেই টাকাও পাচ্ছেন সাক্ষী। পাশাপাশি সাক্ষীকে ১৫ লক্ষ টাকা দেওয়া কথা ঘোষণা করেছে একটি ইস্পাত প্রস্তুতকারক সংস্থা। এখানেই শেষ হচ্ছে না পুরস্কার ৷ কারণ অলিম্পিকে ভারতের সব প্রতিযোগীকে ১ লক্ষ টাকা দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছেন অভিনেতা সলমন খান। তাই সব মিলিয়ে প্রায় তিন কোটি টাকা এখন পুরস্কার হিসেবে পেতে চলেছেন রোহতাকের মেয়ে ৷