একটি পোস্টে বনতারার এই উদ্যোগের প্রশংসা করেছিলেন নরেন্দ্র মোদি। অন্য একটি পোস্টে তিনি লিখেছেন, “বনতারা উদ্যোগ প্রশংসার যোগ্য। বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ, উদ্ধার এবং পুনর্বাসনের এই উদ্যোগ দেখে আমি আপ্লুত। এটি প্রাণীদের জন্য একটি নিরাপদ আশ্রয় প্রদান করে। আমি অনন্ত আম্বানি এবং তার পুরো দলকে এই অত্যন্ত সহানুভূতিশীল প্রচেষ্টার জন্য প্রশংসা করছি।”
advertisement
আরও পড়ুন- দুবাই, যেখানে ভারত খেলছে ম্যাচ, সেখানে একটা সময় কী ছিল জানেন? অবাক হয়ে যাবেন
প্রধানমন্ত্রীর পোস্ট উল্লেখ করে সচিন বলেছেন, “আমি মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জির মতোই অনুভব করেছি। যখন আমি আগে বনতারায় এসেছিলাম তখনও এই উদ্যোগ দেখে আপ্লুত হয়েছিলাম। বন্যপ্রাণী সংরক্ষণের প্রতি অনন্ত এবং তার দলের আবেগ এবং প্রতিশ্রুতি প্রশংসনীয়। বনতারার মতো এই সুন্দর জায়গাটি দেখার জন্য উন্মুখ।”
বনতারা একটি বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ প্রকল্প, এটি অনন্ত আম্বানি দ্বারা প্রতিষ্ঠিত এবং রিলায়েন্স ইন্ডাস্ট্রিজ এবং রিলায়েন্স ফাউন্ডেশন দ্বারা সমর্থিত। গুজরাতের জামনগর রিফাইনারি কমপ্লেক্সের মধ্যে অবস্থিত বনতারা ৩ হাজার একর জমি জুড়ে বিস্তৃত। এখানে আহত এবং বিপন্ন প্রাণীদের জন্য একটি অভয়ারণ্য গড়ে তোলা হয়েছে। বনতারা একটি পুনর্বাসন কেন্দ্র। এখানে প্রাণীদের প্রাকৃতিক এবং পুষ্টিকর পরিবেশ প্রদান করা হয়।
আরও পড়ুন- ভয়ঙ্কর পেটে ব্যথা! ছেলে থেকে মেয়ে হয়েছিলেন! ভারতের একমাত্র ক্রিকেটার বড় সমস্যায়
রিলায়েন্স ফাউন্ডেশন বোর্ডের ডিরেক্টর অনন্ত আম্বানির নেতৃত্বে ভারতে প্রথম এই ধরনের প্রাণী পুনর্বাসন কেন্দ্র গড়ে উঠেছে। বনতারা ‘কর্পোরেট’ বিভাগে ভারত সরকার কর্তৃক পশু কল্যাণে ভারতের সর্বোচ্চ সম্মান ‘প্রাণী মিত্র’ জাতীয় পুরস্কারে ভূষিত হয়েছে। লঞ্চের সময়, অনন্ত আম্বানি তার বাবা-মা – রিলায়েন্স ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের চেয়ারম্যান এবং এমডি মুকেশ আম্বানি, এবং রিলায়েন্স ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা ও চেয়ারপার্সন মা নীতা আম্বানি এই উদ্যোগ নিয়ে কথা বলেছিলেন।
অনন্ত আম্বানি বলেছিলেন, “আমার বাবা সবচেয়ে বন্যপ্রাণীপ্রেমীদের একজন। যখন আমরা ছোট ছিলাম, আমার মনে হয় ১৮ বছর বয়স পর্যন্ত আমি আফ্রিকা, রণথম্ভোর, কানহা, বান্ধবগড় এবং কাজিরাঙ্গার জঙ্গল ছাড়া অন্য কোনও জায়গায় পরিবারের সঙ্গে ছুটিতে যাইনি। আমার বাবা আমাদের শুধু জঙ্গলেই ছুটিতে নিয়ে যেতেন। বাবা আমাকে এটি করতে অনুপ্রাণিত করেছেন।”