এবারের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে দুর্দান্ত ফর্মে আছেন অ্যাডাম জাম্পা। দলকে ফাইনালে ওঠাতে প্রতি ম্যাচেই প্রত্যক্ষ অবদান রেখেছেন অস্ট্রেলিয়ান লেগ স্পিনার। বিশ্বকাপে এখন পর্যন্ত ৬ ম্যাচ খেলে তুলে নিয়েছেন ১২ উইকেট। এই উইকেটগুলো পেতে গড়ে ১০.৯১ রান খরচ করতে হয়েছে। ওভার প্রতি রান দিয়েছেন ৫.৬৯ করে। আর অধিনায়কের জন্য তিনি কত গুরুত্বপূর্ণ, সেটা বুঝিয়ে দিচ্ছে তাঁর স্ট্রাইকরেট। প্রতি ১১.৫ বলে এক উইকেটপ্রাপ্তি তাঁকে ইনিংসের মাঝপথে দলের মূল অস্ত্র বানিয়ে দিয়েছে।
advertisement
বিশ্বকাপে সর্বোচ্চ উইকেটশিকারিদের তালিকার দ্বিতীয় স্থানে আছেন জাম্পা। দলের জাম্পার অন্তর্ভুক্তি টি-টোয়েন্টি খেলার ধরনটাই বদলে ফেলেছে অস্ট্রেলিয়ার। নিজের এমন সাফল্যের পেছনে কৃতিত্ব দিয়েছেন গুরুত্ব না পাওয়াকে। মানুষ গুরুত্ব দিতে চায় না বলেই সেরাটা খেলতে পেরেছেন বলে ধারণা তাঁর। শিরোপা জেতার জন্য জাম্পা হতে পারেন অস্ট্রেলিয়ার তুরুপের তাস।
ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়ার সঙ্গে কথা বলার সময় নিজের মুখেই জানালেন যে কীভাবে ছোটবেলা থেকেই অবহেলিত হতেন, ‘আমাকে সব সময়ই উপেক্ষা করা হতো। আমি যখন ১৫-১৬ বছর বয়সী একটা গ্রামের ছেলে ছিলাম, তখনো দেখা যেত শহরের একটা ছেলে আমার থেকে ভালো বল করছে, অথবা আরেকটা ছেলে চলে এসেছে, যে আমার থেকে ভালো লেগ স্পিনার হয়ে গেছে। এমনকি এই টুর্নামেন্ট শেষে আরেকটা সিরিজ যখন আসবে, আমাকে আবারও হয়তো উপেক্ষা করা হবে। কিন্তু আমি এই সময়গুলোতেই ভাল বোলিং করি।’
নিউজিল্যান্ডের অধিনায়ক কেন উইলিয়ামসন স্পিন বোলিং খেলার ব্যাপারে সিদ্ধহস্ত। জাম্পার চ্যালেঞ্জ সামলানোর জন্য তিনিই কিউইদের প্রধান ভরসা। নিউজিল্যান্ডের লেগ স্পিনার ইশ সোধিও উইকেট থেকে সাহায্য পেলে পার্থক্য গড়ে দিতে পারেন। ভারতের বিরুদ্ধে ম্যাচে বিরাট এবং রোহিতকে আউট করে সেটা প্রমাণ করেছিলেন। তাই তাসমানিয়া পারের ফাইনাল যুদ্ধে দুই দলের দুই লেগ স্পিনার বড় ভূমিকা রাখতে পারেন।