ক্রিকেট দুনিয়ার সবচেয়ে অদ্ভুত ঘটনার সাক্ষী রইলেন তিনি এবং কোটি কোটি ক্রিকেট সমর্থক। শুক্রবার ক্যামেরন গ্রিনের বল এসে লাগে স্টোকসের অফস্টাম্পে। বলের গতি ছিল ১৪২ কিলোমিটার। স্টাম্প নড়লেও বেল পড়েনি। মাঠের আম্পায়ার আউটের সিদ্ধান্ত দেন। কিন্তু সেটা এলবিডব্লিউ-র জন্য নাকি বোল্ডের জন্য তা বোঝা যায়নি।
advertisement
কাল বিলম্ব না করে স্টোকস রিভিউ নেন। তৃতীয় আম্পায়ার দেখেন বল স্টোকসের পা বা ব্যাট কোথাও লাগেনি। বল লেগেছে স্টাম্পে। কিন্তু বেল পড়েনি। তৃতীয় আম্পায়ার জানিয়ে দেন আউট নন স্টাম্প। সেই সময় স্টোকসের মুখের হাসি ছিল দেখবার মতো। সচিন তেন্ডুলকর এবং শেন ওয়ার্ন এই নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় খুনসুটি করেন।
সচিন লেখেন, কোন নতুন নিয়ম হিটিং দা স্টাম্পস নিয়ে আসার প্রয়োজন আছে কি? আপনাদের কি মনে হয়? বোলারের প্রতি সঠিক বিচার হল এটা? উত্তরে কিংবদন্তি অস্ট্রেলিয়ান স্পিনার জবাব দেন, গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন এবং তর্ক করাই যায়। বিশ্ব ক্রিকেট কমিটিতে আমি এটা নিয়ে আলোচনা করব এবং তারপর তোমায় জানাব। এরকম জীবনে দেখিনি।
উইকেটে যথেষ্ট জোরে বল লেগেছিল। এরপর ইমোজি দেন দুজনেই। এই ঘটনা দেখে দীনেশ কার্তিক টুইট করে লেখেন, যখন নিজের অফস্টাম্পের উপর তোমার অগাধ ভরসা এবং অফস্টাম্পও তোমার উপর ভরসা রাখে। এমন অদ্ভুত ঘটনা ক্রিকেট বিশ্বে খুব কমই ঘটে। অস্ট্রেলিয়ার এক ক্রিকেটার স্টাম্পে বেশ কিছু বার টোকা মেরেও দেখেন বেল পড়ে কি না।
কিন্তু তাতে বেল পড়ে না। ইংল্যান্ডের হয়ে ওই ইনিংসে ৬৬ রান করেন স্টোকস। নাথান লায়নের বলে এলবিডব্লিউ হয়ে ফেরেন তিনি। দুরন্ত শতরান করেছেন জনি বেয়ারস্টো। ইংল্যান্ড দিনের শেষে ৭ উইকেট হারিয়ে ২৫৮ রান তুলেছে। ১৫৮ রানে পিছিয়ে তারা।