তাঁর বিরুদ্ধে প্রতারণার অভিযোগ এনেছেন কেরলের সরিশ গোপালান নামে এক যুবক। বিষয়টি হল কেরলের কন্নুর জেলার বাসিন্দা সরিশ গোপালান এবং শ্রীসন্থ এবং আরও দুজনের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়েছেন। সরিশ বলেছেন যে ২০১৯ এ রাজীব কুমার এবং ভেঙ্কটেশ কিনি একটি স্পোর্টস অ্যাকাডেমি তৈরি করার পরিকল্পনা নিয়ে তাঁর কাছে এসেছিলেন৷ এই প্রস্তাব দেখিয়ে তাঁরা সরিশের থেকে ১৮.৭০ লক্ষ টাকা নিয়েছিলেন৷ তাঁকে বলা হয়েছিল এটি তাঁর বিনিয়োগ৷
advertisement
কল্লুরে এই অ্যাকাডেমি তৈরি হওয়ার কথা ছিল। রাজীব এবং ভেঙ্কটেশ সরিশকে বলেছিলেন যে শ্রীসন্থ তাঁদের তৃতীয় অংশীদার হবেন। এদিকে শ্রীসন্থের দাবি অনুযায়ী এই ধরণের কোনও প্রজেক্টে, কোনও আর্থিক লেনদেন বা অন্য কোনও কাজের সঙ্গে তাঁর কোনও যোগাযোগ নেই৷
সরিশ বলেছেন যে শ্রীসন্থের নাম আসার পরেই তিনি টাকা বিনিয়োগ করেছিলেন। কিন্তু এখনও কোনও অ্যাকাডেমি তৈরি হয়নি। সরিশের টাকাও ফেরত দেওয়া হয়নি। সরিশের এই বক্তব্যের পর কেরল পুলিশ ভেঙ্কটেশ, রাজীব এবং শ্রীসন্থ তিনজনের বিরুদ্ধেই মামলা রুজু করেছে।
শ্রীসন্থ নিজের যোগ অস্বীকার করলেও পুলিশ এই মামলায় তৃতীয় আসামি হিসেবে তাঁকে বিবেচনা করেছ। তবে এখনও কিছুই পরিষ্কার নয়। এই মামলার আসামি নাকি শ্রীসান্থ! পুলিশ জানিয়েছে তদন্তের পরেই পুরো বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া যাবে। শ্রীসন্থ এবং তাঁর দুই সহযোগীর বিরুদ্ধে আইপিসির ৪০২ ধারায় মামলা দায়ের করেছে পুলিশ।
স্পট ফিক্সিংয়ের দায়ে গ্রেফতার হন
আইপিএল ২০১৩- একেবারে তোলপাড় হয়ে গিয়েছিল যখন শ্রীসন্থ স্পট ফিক্সিংয়ের অভিযোগে গ্রেফতার করা হয়েছিল৷ সেই মরশুমে তিনি রাজস্থান রয়্যালসের জার্সিতে খেলতেন। রাজস্থানের অজিত চান্দেলা ও অঙ্কিত চৌহান এই মামলায় জড়ানো হয়েছে। শ্রীসন্থ আজীবনের জন্য নির্বাসিত করেছিল বিসিসিআই। দীর্ঘ শুনানির পর দিল্লি হাইকোর্ট শ্রীসন্থকে অভিযোগ থেকে মুক্তি দেয়। আদালতের এই রায়ের পরেও বিসিসিআই শ্রীসন্থের ওপর থেকে নির্বাসন তুলে নেয়৷ নিষেধাজ্ঞা উঠে যাওয়ার পর, কেরলের জার্সিতে ঘরোয়া ক্রিকেটে ফিরেছেন এই পেসার৷