এবারের বিজয় হাজারে ট্রফিতে ঋতুরাজ সবচেয়ে বেশি গড় রেখে সবচেয়ে বেশি রান করেছেন, ব্যক্তিগত সর্বোচ্চ রানও তাঁর, সবচেয়ে বেশি চার ও ছয় মেরেছেন, শতরানও সকলের চেয়ে বেশি। এদিনের ম্যাচে ৯৫ বলে শতরান পূর্ণ করার পর আরও ৬৮ রান করেন মাত্র ৩৬ বলে। মহারাষ্ট্র টস জিতে ফিল্ডিং নিয়েছিল।
advertisement
অধিনায়ক মনন ভোরার ১৪১, আর্সলান খানের ৮৭ ও অঙ্কিত কৌশিকের ৫৬ রানের সুবাদে চণ্ডীগড় ৫ উইকেটে ৩১৩ তোলে। জবাবে সাত বল বাকি থাকতেই ৫ উইকেটে ম্যাচ জিতে যায় মহারাষ্ট্র। ঋতুরাজের অধিনায়কোচিত ইনিংসের পাশাপাশি দলের জয়ে বড় ভূমিকা নেয় আজম কাজির অপরাজিত ৭৩ রান। এবারের বিজয় হাজারে ট্রফিতে মধ্যপ্রদেশের বিরুদ্ধে ১৩৬, ছত্তীসগঢ়ের বিরুদ্ধে অপরাজিত ১৫৪ ও কেরালার বিরুদ্ধে ১২৪ রান করেন ঋতুরাজ।
শতরানের হ্যাটট্রিকের পর উত্তরাখণ্ড ম্যাচে তিনি ২১ রানে আউট হন, এদিন ফের পেলেন শতরান। এই জয়ের সুবাদে গ্রুপ ই-তে ৫ ম্যাচে ১৬ পয়েন্ট নিয়ে তৃতীয় স্থানে রইল মহারাষ্ট্র। তরুণ প্রতিভা তুলে আনার ক্ষেত্রে এবং তাদের সুযোগ দেওয়ার ক্ষেত্রে তার জুড়ি মেলা ভার। যেমন বিরাট কোহলির ভারতীয় দলে ঢোকার ক্ষেত্রে তার অবদান ছিল অনস্বীকার্য।
২০০৮ সালে বিরাটকে ভারতীয় দলে নিয়ে এসেছিলেন তৎকালীন নির্বাচক প্রধান দিলীপ ভেঙ্গসরকার ( Dilip vengsarkar)। তারপর বাকিটা ইতিহাস। সেরকমই ভারতীয় ক্রিকেটের কর্নেল মনে করেন দক্ষিণ আফ্রিকা সফরের ( India tour of South Africa) একদিনের দলে ( ODI series) চোখ বন্ধ করে জায়গা দেওয়া উচিত ঋতুরাজ গায়কোয়াড়কে ( Ruturaj Gaikwad)। দুরন্ত ছন্দে আছেন এই তরুণ ব্যাটসম্যান। আইপিএলে সর্বোচ্চ ৬৩৫ রান ( 635 runs in IPL) করে কমলা টুপির মালিক হয়েছিলেন। প্রথম আইপিএল শতরান পেয়েছিলেন।