ফলে ক্যারিবিয়ান সফরে দুই ম্যাচের টেস্ট সিরিজে তাঁকে অধিনায়কের দায়িত্বে রাখা হবে কিনা, তা নিয়ে সংশয় দানা বাঁধছিল। তবে সংবাদসংস্থা পিটিআই বোর্ডের এক শীর্ষ কর্তাকে উদ্ধৃত করে জানিয়েছে, ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিরুদ্ধে টেস্ট সিরিজে রোহিতই সম্ভবত ভারতীয় দলকে নেতৃত্ব দেবেন। যা তাঁর কাছে টেস্ট অধিনায়ক হিসেবে শেষ সুযোগ মনে করা হচ্ছে। তবে মুম্বইকর নিজে সরে দাঁড়ালে আলাদা কথা।
advertisement
টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ ফাইনালে অস্ট্রেলিয়ার কাছে ভারতের হার কিছুতেই মেনে নিতে পারছেন না সুনীল গাভাসকর। হতশ্রী পারফরম্যান্সের জন্য টিম ইন্ডিয়ার সমালোচনায় মুখর হয়েছেন তিনি। সানির কথায়, আমাদের সময়েও টিম খারাপ পারফরম্যান্স করেছে। ৪২ রানে গুটিয়ে গিয়েছি। ড্রেসিং-রুমের সমস্যা বাইরে এসেছে। খারাপ খেললে সমালোচনা হবে, এটাই বাস্তব। এই ভারতীয় টিমও ব্যাতিক্রম নয়।
টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ ফাইনালে টিম ইন্ডিয়ার জঘন্য পারফরম্যান্সের মূল্যায়ন হওয়া প্রয়োজন। গাভাসকর এতটাই বিরক্ত যে, ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরের যৌক্তিকতা নিয়েও প্রশ্ন তুলে দিলেন। তাঁর সংযোজন, ‘ডব্লুটিসি ফাইনালে প্রথম একাদশ নির্বাচন থেকে ব্যাটিং, বোলিং বা ফিল্ডিং, সবেতেই সমস্যা ছিল। কোথায় ভুল হচ্ছে তা খাতিয়ে দেখতে হবে।
এবার ওয়েস্ট ইন্ডিজে সফর রয়েছে ভারতের। দ্বিপাক্ষিক সিরিজে অপেক্ষাকৃত দুর্বল দলকে উড়িয়ে দেওয়া কিন্তু বড় কৃতিত্বের নয়। সেরা হতে হলে অস্ট্রেলিয়ার মতো শক্তিশালী প্রতিপক্ষকে হারাতে হবে। ফাইনালে একই ভুল বারবার করলে কীভাবে সাফল্য আসবে? পাশাপাশি বিরাট কোহলির সামালোচনাতেও মুখর সানি।
তিনি বলেন, বিরাট দ্বিতীয় ইনিংসে বোল্যান্ডকে যেভাবে উইকেট ছুড়ে দিয়ে এল, তা মানতে পারছি না। বাইরের বল ড্রাইভ করতে যাওয়া অর্থহীন। হয়তো অর্ধশতরানের দোরগোড়ায় ছিল বলেই বিরাট ওই শটটা খেলতে গিয়েছিল। এছাড়া ভারতের টপ অর্ডারও তো চূড়ান্ত ব্যর্থ হয়েছে। রোহিত, শুভমান, পূজারারা নামের প্রতি সুবিচার করতে পারেনি।
এমন গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে ওদের আরও দায়িত্ব নিয়ে খেলা উচিত ছিল। এদিকে, খেতাবি লড়াইয়ে হারের পর টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপে তিন ম্যাচের ফাইনালের কথা বলেছিলেন রোহিত। এই প্রসঙ্গে গাভাসকরের মন্তব্য, সব কিছু তো আইপিএলের মতো হয় না। তাছাড়া রোহিত তো আগে থেকেই জানত, এক ম্যাচের ফাইনাল হতে চলেছে। তাহলে হারের পর এই প্রসঙ্গ তোলা যুক্তিহীন।
পরে দেখা গেল, তুমি পাঁচ ম্যাচের ফাইনালের কথা তুলছ। এভাবে হয় না। প্রস্তুতিতে আরও জোর দিতে হত। তবে সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় এবং সানি দুজনেই মনে করেন আপাতত একদিনের বিশ্বকাপের আগে রোহিতকে অধিনায়ক পদ থেকে সরানোর মানে নেই।