আরও পড়ুন - রোহিত আমার বড় দাদার মতো ! বিশ্বকাপের সাংবাদিক সম্মেলনে চমকে দিলেন পাকিস্তানের বাবর
ভারতের জার্সিতে যখন তার অভিষেক হয় নিজের ঘরের মাঠ বেঙ্গালুরুতে টেস্ট ম্যাচে পাকিস্তানের বিপক্ষে, তখন বোঝা গিয়েছিল এই ছেলে ভারতকে সেবা করবে অনেকদিন। বিশ্বকাপে অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে বিনির চার উইকেট এবং ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিরুদ্ধে ক্লাইভ লয়েদের গুরুত্বপূর্ণ উইকেট না নিলে ভারতীয় ক্রিকেটের ইতিহাস হয়তো অন্যরকম ভাবে লিখতে হত।
advertisement
১৯৮৫ সালের বেনসন এন্ড হেজেস কাপেও দুর্দান্ত পারফর্ম করেছিলেন বিনি। চারটি ম্যাচ খেলে নয়টি গুরুত্বপূর্ণ উইকেট তুলে নিয়েছিলেন। ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে হেডিংলি টেস্টে বিনির সাত উইকেট লেখা আছে ভারতীয় ক্রিকেটের গর্বের ইতিহাসে। পাকিস্তানের বিরুদ্ধে ৫৬/৬ রজার বিনির অন্যতম সেরা পারফরমেন্স।
একটা সময় বাংলা ক্রিকেট দলের কোচ হয়েছিলেন। নির্বাচকের দায়িত্ব পালন করেন। সেই সময় অলরাউন্ডার হিসেবে কপিল দেব, ইমরান, ইয়ন বথামদের মতো সাফল্য না পেলেও রজার বিনি তার ক্রিকেট ক্যারিয়ারে ভারতের জার্সিদে বেশ কিছু উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রেখেছিলেন। বিশ্বকাপ জয়ের পেছনে কপিল দেব, অমরনাথ এমনকি মদন লালের কথা উল্লেখ হলেও বিনির গুরুত্ব সেভাবে দেওয়া হয়নি।
তিনি প্রচারের বাইরে থাকতেই পছন্দ করেন। কপিল দেব স্বীকার করে নিয়েছিলেন বিশ্বকাপ জয়ের পেছনে রজার বিনির অবদান কিছু কম ছিল না। গাভাসকার তাকে আখ্যা দিয়েছিলেন ভারতীয় ক্রিকেটের সাইলেন্ট কিলার। বর্তমান ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের প্রেসিডেন্ট হিসেবে কর্ণাটকের এই প্রাক্তন কী অবদান রেখে যেতে পারেন সেটাই দেখার।
ক্রিকেট মাঠে সৌরভের পরিসংখ্যানের ধারে কাছে না থাকলেও বিনিকে ক্রিকেটার হিসেবে একেবারে ধুয়ে ফেলার কারণ নেই। এবার বোর্ড প্রেসিডেন্ট হিসেবে সৌরভের কাছাকাছি অবদান রেখে যেতে পারেন কিনা সেটা সময় বলবে। তুলনা কিন্তু হবে। শুধুই ক্রিকেটার হিসেবে থেকেছেন, সৌরভের মতো চরিত্র হতে পারেনি বিনি