আরও একটি হার। কটকের মাঠে দর্শক এসেছিলেন ভারতের জয় দেখতে। ওড়িশার মুখ্যমন্ত্রী নবীন পট্টনায়ক ঘণ্টা বাজিয়ে ম্যাচের শুরু ঘোষণা করলেন। উপস্থিত ছিলেন বিসিসিআই প্রধান সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ও। সকলেই এসেছিলেন ভারতের জয় দেখতে। কিন্তু ফিরলেন আরও একটি হার দেখে।
দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে চার উইকেটে হারের পর স্পিনারদের কাঁধে দোষ চাপালেন ঋষভ পন্থ। পন্থ বলেন, আমাদের ১০-১৫ রান কম হয়েছিল। ভুবনেশ্বর কুমার এবং বাকি পেসাররা প্রথম সাত-আট ওভার ভাল বল করেছে। তার পরেই সব খেই হারিয়ে গেল। আইপিএলে বেগুনি টুপির মালিক যুজবেন্দ্র চহাল চার ওভারে দিলেন ৪৯ রান। নিলেন একটি উইকেট।
অক্ষর পটেল এক ওভারে ১৯ রান দেওয়ার পর তাঁকে আর বলই করাতে পারলেন না পন্থ। ভারত অধিনায়ক বলেন, আমাদের উইকেট দরকার ছিল মাঝের ওভারে। সেটাই নিতে পারলাম না। তেম্বা বাভুমা এবং হেনরিক ক্লাসেন খুব ভাল ব্যাট করেছে। আমাদের আরও ভাল বল করা উচিত ছিল। আশা করি পরের ম্যাচে উন্নতি হবে। পরের তিনটি ম্যাচই আমাদের জিততে হবে।
ব্যাটারদের কথা পন্থ না বললেও এই হারের দায় এড়িয়ে যেতে পারবেন না তাঁরাও। বিশেষ করে তিনি নিজেও যে ভাবে আউট হলেন তাতে ব্যর্থতার দায় নিতেই হবে। প্রথম ম্যাচে সাত উইকেটে হেরেছিল ভারত। ২১১ রান তুলেও হারতে হয়েছিল। দ্বিতীয় ম্যাচে হারতে হল চার উইকেটে।
দুই ম্যাচেই ব্যর্থ হন স্পিনাররা। রবিবার শুরুতে ঈশান কিশন, শ্রেয়স আয়ার এবং শেষ বেলায় দীনেশ কার্তিক রান না করলে আরও লজ্জায় পড়তে হত ভারতকে। তবে সুনীল গাভাসকার, ইরফান পাঠান মনে করেন এই ব্যাপারটা নিয়ে এতটা ভয় পাওয়ার কারণ নেই।
বিসিসিআই ইচ্ছে করেই পরীক্ষা নিরীক্ষা চালাচ্ছে। পন্থকে জাতীয় দলের অধিনায়কত্ব করার জন্য এরকম পরিস্থিতির সম্মুখীন হতে হবে সেটা আশ্চর্যের কিছু নয়। ভুল করতে করতে তিনি শিখবেন আশাবাদী প্রাক্তনরা।