২৫ বছর বয়সি বাঁহাতি ব্যাটার বলছেন, প্রথম লক্ষ্যে পৌঁছেছি। এবার নিজেকে উজাড় করে দেব দলের জন্য। টিম ইন্ডিয়ার নীল জার্সি গায়ে চাপানোর সময় রিঙ্কুর মনে পড়ছিল আর্থিক প্রতিকূলতা আর লড়াইয়ের দিনগুলোর কথা। তিনি বলেছেন, ছোটবেলা থেকে অনেক কষ্টের মধ্যে দিয়ে বড় হয়েছি। আমার পরিবারকে তাই একটু স্বাচ্ছন্দ্য দিতে চেয়েছিলাম।
অনেক ঘাম ঝরিয়ে আজ এই জায়গায় পৌঁছেছি। প্রচুর সমস্যা ছিল। আর্থিক বাধার মুখোমুখিও হতে হয়েছে। কিন্তু নিজের প্রতি বিশ্বাস হারাইনি। সেটাই আমাকে মানসিকভাবে শক্ত করে তুলেছিল। জানতাম, সফল হতে পারলে দুঃখের দিনের অবসান ঘটবে। জাতীয় দলে ডাক পাওয়াকে মায়ের স্বপ্নপূরণ হিসেবে বর্ণনা করেছেন রিঙ্কু।
তাঁর কথায়, এত প্রতিকূলতা সত্ত্বেও আমার ক্রিকেটার হওয়ার নেপথ্যে বিশাল অবদান রয়েছে বাড়ির প্রত্যেকের। বিশেষ করে মায়ের অবদানের কথা বলে শেষ কারা যাবে না। আমার খরচ জোগানোর জন্য কখনও কখনও ধারও করতে হয়েছে তাঁকে।
তবুও আমাকে সমানে উদ্দীপ্ত করেছেন তিনি। রিঙ্কু বলছেন তার পা সব সময় মাটিতেই থাকবে। জানেন ভারতীয় দলের সুযোগ পাওয়া কঠিন। কিন্তু টিকে থাকা আরও বেশি কঠিন। আগের দিন ব্যাটিংয়ের সুযোগ পাননি। আজ যদি ব্যাটিং করার সুযোগ আসে রান করতে মরিয়া থাকবেন রিঙ্কু।