কলকাতায় এই সেশনটি পরিচালনা করেন RFYC-এর প্রধান স্কাউটিং কর্মকর্তা স্টিফেন চার্লস এবং তার সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন অ্যাকাডেমির কয়েকজন উল্লেখযোগ্য প্রাক্তন ছাত্র, যেমন সুপ্রতিম দাস (মুম্বই সিটি এফসি), রণিত সরকার (শিলং লাজং এফসি), কৌস্তভ দত্ত (ইস্টবেঙ্গল এফসি), এবং প্রান্তিক সাহা (বেঙ্গালুরু এফসি)।
আরও পড়ুন: অবহেলার এই পাতা ফাইবারে ভরপুর দূর করে গ্যাস-অম্বল! পাতার ভিটামিন সি-এর ভাণ্ডার চোখের জন্য আশীর্বাদ…
advertisement
RFYC-এর প্রধান স্কাউট স্টিফেন চার্লস বলেন, “পুনে, মুম্বই, গোয়া, কেরালা এবং এখন কলকাতায় যেসব বাচ্চারা অংশ নিয়েছে, তাদের কাছে এটি একটি দুর্দান্ত সুযোগ ছিল পেশাদার ফুটবলারদের মতো আচরণ করা শিখতে – শুধু মাঠে নয়, মাঠের বাইরেও। যখন পেশাদার ফুটবলাররা, যারা এই অ্যাকাডেমির প্রাক্তন ছাত্রও বটে, উপস্থিত থাকে, তখন ছোটদের জন্য তা দারুণ অনুপ্রেরণা ও শেখার সুযোগ হয়।”
আরএফ ইয়ং চ্যাম্পসের সর্বভারতীয় ফুটবল ক্লিনিকের সমাপ্তি কলকাতায়, উপস্থিত ছিলেন প্রাক্তনীরা
তিনি আরও বলেন, “এই পুরো কর্মসূচি আমাদের জন্যও একটি স্কাউটিং প্ল্যাটফর্ম ছিল যাতে আমরা এই অঞ্চলের সেরা প্রতিভাদের খুঁজে পেতে পারি। আগামী আট মাস আমরা তাদের মূল্যায়ন করব এবং দেখব কারা RFYC-এর পরবর্তী ব্যাচে সুযোগ পেতে পারে।”
আরও পড়ুন: আম ভালবাসেন? বর্ষায় চুষে, কামরে খাচ্ছেন! ভুল করছেন না তো? সাবধান না হলেই…
মিডফিল্ডার সুপ্রতিম দাস, যিনি ২০২৪-২৫ মরশুমে মুম্বই সিটি এফসির হয়ে ইন্ডিয়ান সুপার লিগে অভিষেক করেন, বলেন, “এই বাচ্চাদের সঙ্গে খেলে দারুণ লেগেছে। যেন নিজের ছোটবেলায় ফিরে গিয়েছিলাম। কলকাতায় অনেক প্রতিভা রয়েছে এবং আমি সত্যিই চাই ওরা যেন ভারতীয় ফুটবলের সর্বোচ্চ স্তরে পৌঁছাতে পারে।”
এই সেশনগুলির মাধ্যমে নির্বাচিত শিশুদের নানা স্কিল ডেভেলপমেন্ট ও মজাদার কার্যকলাপে অংশগ্রহণ করানো হয়, যেমন পাসিং, আক্রমণ-প্রতিরক্ষা, ১ বনাম ১ এবং ২ বনাম ২ ড্রিল, এরপর একটি সংক্ষিপ্ত ফুটবল ম্যাচ। এছাড়াও, RFYC-র প্রাক্তন খেলোয়াড়দের কাছ থেকে তারা পেশাদার ফুটবল কেমন হয়, খেলার দৃষ্টিভঙ্গি, ও খেলার উন্নত বোঝাপড়া সম্পর্কে মূল্যবান দিকনির্দেশনা পায়।
এই কর্মসূচির মাধ্যমে RFYC তাদের এক দশকের সাফল্য উদযাপন করল এবং একই সঙ্গে ভারতীয় ফুটবলের আগামী প্রজন্ম গড়ে তুলতে আরও এক ধাপ এগিয়ে গেল।