TRENDING:

‘ভারতে আয়োজিত হোক অলিম্পিক্স- ফিফা বিশ্বকাপ’ Sports Business Summit-র মঞ্চে স্বপ্ন দেখালেন নীতা আম্বানি

Last Updated:

লন্ডনে আয়োজিত Sports Business Summit-এ সোমবার বক্তব্য রাখলেন Reliance Foundation Chairperson and International Olympic Committee (IOC)-এর সদস্য নীতা আম্বানি ৷

impactshort
ইমপ্যাক্ট শর্টসলেটেস্ট খবরের জন্য
advertisement
#লন্ডন :লন্ডনে আয়োজিত Sports Business Summit-এ সোমবার বক্তব্য রাখলেন Reliance Foundation Chairperson and International Olympic Committee (IOC)-এর সদস্য নীতা আম্বানি ৷ তাঁর বক্তব্যের মধ্যে দিয়ে উঠে এল 'Inspiring a Billion Dream: The India Opportunity-এর নানা দিক ৷ যার মধ্যে নীতা আম্বানি সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব প্রদান করল খেলাধুলোয় মহিলাদের অংশগ্রহণের কথা ৷ খেলার মধ্যে দিয়ে নারীদের ইচ্ছে শক্তি, লড়াইয়ের গল্পও নীতা আম্বানি তুলে ধরলেন ৷
advertisement

যখন ২০১৯ বিশ্বকাপের ফাইনালে ইংল্যান্ড নিউজিল্যান্ডকে হারাল তখন ১৫ মিলিয়ন মানুষ টেলিভিশনে খেলা দেখেছিলেন আর ১৮০ মিলিয়ন মানুষ তা অনলাইনে দেখেছিলেন ৷ এটা শুধুমাত্র ভারতের হিসেব ৷ অন্যদিকে ভারত যে সেমিফাইনালে নিউজিল্যান্ডের কাছে হেরেছিল সেখানে ২২০ মিলিয়ন মানুষ খেলা দেখেছিল ৷ এবার ভাবুন ভারত যদি ইংল্যান্ডের সঙ্গে খেলত তাহলে যেমন কট্টর মোকাবিলা হত তেমনিই দর্শক সংখ্যা কোথায় পৌঁছত তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না ৷

advertisement

এই দর্শক সংখ্যাটা শুধু ক্রিকেটেই নয় অলিম্পিক্স, ফিফা বিশ্বকাপ, ইপিএল সবক্ষেত্রেই ভারতে প্রচুর ৷ ৮০০ মিলিয়ন ভারতীয় ২০১৮ সালে স্পোর্টস চ্যানেল দেখেছেন টেলিভিশনে ৷ বন্ধুরা আমি যে ছবিটা তুলে ধরতে চাইছি সেটা নিশ্চয় বুঝতে পারছেন যে এই দেশের খেলার মানচিত্র দ্রুত বদলাচ্ছে ৷ তাতে এটা পরিষ্কার নতুন ভারত অসম্ভব সম্ভবনার দেশ ৷ খেলা এখন অনেক ব্যবসা, অনেক পেশাদার কোচ, অনেক ফিজিও, টেক অন্তেপ্রেনর সংবাদমাধ্যম ,মার্চেন্টাইসকে দু‘হাত প্রসারিত করে স্বাগত জানাচ্ছে ৷  ভারতের এখন গণতন্ত্র, বৈচিত্র, উন্নয়ন এই সব শক্তিগুলির মিশেলে তৈরি আর সকলকে এই সব জিনিসের মিশ্রিত বিষয় অফার করছে ৷ এক যুগের মধ্যেই চিনকে টপকে বিশ্বের সবচেয়ে জনবহুল দেশ হবে ভারত ৷ ভারত গর্বিত যে সে স্বাধীন, উন্মুক্ত সমাজ উপহার দেয় ৷ সেই দিন দূরে নয় যখন ভারত বিশ্বের তৃতীয় সর্ববৃহৎ অর্থনীতিতে পরিণত হবে ৷ পাঁচ বছরের মধ্য জিডিপি গ্রোথের পরিমাণ দ্বিগুণ হওয়ার আশা নিয়ে এগোচ্ছে ভারত ৷ অর্থনীতিকে পৌঁছেছে পাঁচ ট্রিলিয়ন ডলার ইকনমিতে ৷

advertisement

ক্রীড়াক্ষেত্রের বিশিষ্ট নেতৃত্বকে বলছি , এত অভূতপূর্ব সুযোগ ছেড়ে ভারত থেকে আপনারা দূরে থাকতে পারবেন ৷ উত্তরটা আবশ্যিক ভাবেই না ৷ আমি আমার বক্তব্যের একদম শেষে এসে গেছি ৷ ভারতের খেলার ভবিষ্যত নিয়ে আমার স্বপ্নের কথা বলি ৷ আমার তিনটি স্বপ্ন রয়েছে ৷ আমার প্রথম স্বপ্ন , আমি দেখতে চাই কোনও শিশু যেন খেলার থ্রিল ও আনন্দ থেকে দূরে না থাকে ৷ শিক্ষার অধিকার যেমন আছে তার ঠিক পাশেই একইভাবে যেন গুরুত্ব দেওয়া হয় খেলার অধিকারকে ৷ আমার লক্ষ্য গরিব ও প্রান্তিক মানুষদের কাছে পৌঁছনো ৷ আমি ব্যক্তিগতভাবে সেই সব শিশুদের জন্য কাজ করছি ৷ যাতে আমাদের সব শিশুরা সেই সুযোগ পায় ৷  যে কোনও সমাজের প্রাথমিক কর্তব্য তাদের শিশুদের সুখী, খুশি ও ফিট রাখা ৷ আমি এটাকে নিজের ধর্মের মধ্যে ধরি ৷ আমাদের ৩০০ মিলিয়ন শিশুদের অধিকার রক্ষা আমার কর্তব্য ৷ এরা আমাদের দেশের ভবিষ্যত ৷ আগামিকালের সুন্দর মুখগুলি এরা ৷ আমার খেলার দুনিয়ার স্বপ্ন অবশ্য শুধু শিশুদের নিয়ে নয় এটা সব বয়সের সব মানুষের জন্য ৷ শিশু-তাদের বাবা-মা, তাদের দাু-দিদা সকলেই রয়েছেন এই স্বপ্নে ৷ আমাদের গোটা দেশকে এক হতে আহ্বান জানাচ্ছি ফিটনেস ও খেলা নিয়ে ৷

advertisement

আমার দ্বিতীয় স্বপ্ন - ভারতের বিশ্বের স্পোর্টিং পাওয়ার হাউসে রূপান্তরিত হক ৷ আন্তর্জাতিক মঞ্চে ১.৩ বিলিয়ন লোকের থেকে কেন কেউ পদক জিততে পারবে না তার কোনও কারণ আমি দেখি না ৷ আমার ইচ্ছা ও স্বপ্ন ভারতের বিশ্বের সবচেয়ে বড় স্পোর্টিং ইভেন্ট অর্থাৎ অলিম্পিক্স , ফিফা বিশ্বকাপের আসর বসুক ৷ ঠিক চারদিন আগে রিলায়েন্স ফাউন্ডেশন ভারতে এনবিএ নিয়ে এসেছে ৷ তারা নিজেদের প্রথম খেলা খেলেছে ৷ আমি চাই আপনারা প্রত্যেকে এই বড় স্বপ্নের অংশ হন ৷

advertisement

আমার তৃতীয় স্বপ্ন খেলা নিজের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ কাজটি করুক ৷ খেলার গ্লোবাল গোল হল শান্তি, সমঝোতা ও পরস্পরকে বোঝা যা অনুপ্রেরণা দেয়, ক্ষতে মলম দেয় এবং পরিবর্তিত করে ৷২০১৬ -র রিও অলিম্পিক্সে ঐতিহাসিক মুহূর্ত তৈরি হয়েছিল যখন রিফিউজিরা একসঙ্গে অলিম্পিক্সের পতাকার তলায় হেঁটেছিল ৷ কারোর অন্ধকারতম সময় খেলা আলোকিত করতে পারে, দিতে পারে সাহস ৷ তাদের রেফিউজি ক্যাম্প পরিণত হয়েছিল খেলার মাঠে ৷ মানবতার জন্য এটা একটা বিশেষ মুহূর্ত ছিল ৷ দুটি দেশের সংস্কৃতির মধ্যে খেলা সেতুর কাজ করে ৷ খেলারই এই ক্ষমতা রয়েছে যা আশার আলো ছড়ায় ৷ খ্রীষ্টপূর্বাব্দ অষ্টম শতকে ফিরে গেলে দেখা যায় প্রাচীন গ্রিসে শুরু হয়েছিল অলিম্পিক গেমস ৷ প্রতিটা দেশে যুদ্ধের হাতিয়ার ফেলে দিয়েছিল আর খেলায় মেতেছিল ৷ সব যুদ্ধ থেমে গিয়েছিল ৷ খেলার শক্তি বিস্ব শান্তি আনার ক্ষেত্রে বড় ভূমিকা নিয়েছিল ৷ আজকের সঙ্গে সেদিনের পরিস্থিতির ভীষণ মিল ৷ এটা মহাত্মা গান্ধীর সার্ধশতবর্ষ জন্মজয়ন্তী ৷ আধুনিক পৃথিবীর সবচেয়ে বড় মুখ বিশ্ব শান্তিতে ৷ আমি আপনাদের সকলকে আহ্বান জানাচ্ছি  স্পোর্টসম্যানশিপ দিয়ে যুদ্ধ বন্ধ করুন ৷ আমি মহাত্মা গান্ধীকে সম্মান জানাচ্ছি ৷ আমাদের সব যুদ্ধক্ষেত্র খেলার মাঠে পরিণত হক ৷ প্রতিটা ছোট ছেলে মেয়ে নিজেদের স্বপ্নকে বাস্তবায়িত করার সাহস যেন পায়, নিজেদের ভবিষ্যত নিজেরা লিখতে পারে ৷ আমাদের শিশুদের জন্য শান্তিপূর্ণ, সুন্দর, আনন্দের ভবিষ্যত রেখে যাওয়ার অঙ্গীকার ৷

সেরা ভিডিও

আরও দেখুন
অপেক্ষার অবসান, কনকনে শীতে শুরু হয়ে গেল এবছরের পৌষমেলা! প্রথম দিনেই রেকর্ড ভিড়
আরও দেখুন

Click here to add News18 as your preferred news source on Google.
লেটেস্ট খেলার খবর (Sports News in Bengali), ক্রিকেটের খবর (Cricket News in Bangla), আইপিএলের খবর (IPL News)পাবেন নিউজ 18 বাংলা-তে ৷ দেখুন ব্রেকিং নিউজ এবং সব গুরুত্বপূর্ণ খবর অনলাইনে নিউজ 18 বাংলার লাইভ টিভি-তে ৷ এর পাশাপাশি ডাউনলোড করুন নিউজ 18 বাংলার অ্যাপ সব খবরের আপডেট পেতে ! News18 Bangla-কে গুগলে ফলো করতে ক্লিক করুন এখানে ৷
বাংলা খবর/ খবর/খেলা/
‘ভারতে আয়োজিত হোক অলিম্পিক্স- ফিফা বিশ্বকাপ’ Sports Business Summit-র মঞ্চে স্বপ্ন দেখালেন নীতা আম্বানি