কিন্তু শেষ কয়েক বছর সিকন্দার নিজের জন্য আলাদা একটা জায়গা তৈরি করেছেন। পাকিস্তানে জন্ম নেওয়া এই ক্রিকেটারের জন্য ক্রিকেটে আসার পথটা সহজ ছিল না। দুর্দান্ত কোনও প্রতিভা ছিলেন না তিনি। ক্রিকেট খেলাটাকে আয়ের উৎস হিসেবেই দেখেছেন সবসময়। সিকন্দার রাজা কয়েক মাস আগে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে ম্যাচ শেষে নিজের অতীতে ফিরে গিয়েছিলেন।
advertisement
আরও পড়ুন - লজ্জিত, অপমানিত শোয়েব ! পাকিস্তানের অবাক হারে পিসিবিকে ধুয়ে দিলেন আমির
জানিয়েছিলেন, আমি বিমান বাহিনীতে ছিলাম। আমরা কখনও হার মানি না। আমি ব্যথা পাই, আমার আঙ্গুল ভাঙ্গে কিন্তু এসবে আমার কোনও কিছু যায় আসে না। সাড়ে তিন বছর পাকিস্তানের এয়ার ফোর্স কলেজে পড়ার স্মৃতিতে ফিরে যান তিনি, আমি হয়তো যোদ্ধা পাইলট হতে পারিনি শেষ পর্যন্ত। কিন্তু আমি মানুষ হিসেবে একজন যোদ্ধা।
এগার বছর বয়সেই তার মা-বাবার কাছে যোদ্ধা বৈমানিক হওয়ার স্বপ্নের কথা বলেছিলেন। সিকন্দার রাজার প্রোফাইলে ইএসপিএন-ক্রিকইনফোর প্রতিনিধি মহম্মদ ইসাম লিখেছেন, বিমান বাহিনীতে যোগ দেয়ার পরীক্ষায় ৬০ হাজার জনের মধ্যে সেরা ৬০ জনের একজন হয়েছিলেন সিকন্দার রাজা। কিন্তু তৃতীয় বর্ষে চোখের পরীক্ষায় বাদ পড়ে গিয়েছিলেন তিনি।
ভর্তি হন স্কটল্যান্ডের একটি বিশ্ববিদ্যালয়ে যেখানে তিনি ক্রিকেটকে বেছে নিয়েছিলেন সেমি-প্রফেশনাল হিসেবে। দুই হাজার দুই সালে সিকন্দার রাজা তার মা-বাবার সাথে জিম্বাবোয়ে চলে গিয়েছিলেন। নানা চড়াই উৎরাই পার করে ২০০৭ সালে প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে যোগ দেন তিনি।
এরই মধ্যে পড়ালেখাও চালিয়ে যান, ২০১০-১১ মৌসুমে পড়ালেখা শেষ করে পুরোদস্তুর ক্রিকেটে মন দেন সিকন্দার রাজা। দুই হাজার সতের সালে শ্রীলঙ্কাকে যেবার হারালো জিম্বাবোয়ে তখনও সিকান্দার রাজা ছিলেন নায়ক, ব্যাট হাতে তো বটেই বল হাতেও ভূমিকা রেখেছিলেন তিনি।
অ্যান্ডি ফ্লাওয়ার, গ্র্যান্ট ফ্লাওয়ার, হিথ স্ট্রিক, অ্যালেস্টার ক্যাম্পবেলের জিম্বাবুয়ে হারিয়ে যাওয়ার পর ট্যাটেন্ডা টাইবু, ব্র্যান্ডন টেলররা চেষ্টা করেছেন কিন্তু বেশিদিন ধরে রাখতে পারেননি। কিন্তু অস্ট্রেলিয়ার পারথে পাকিস্তানকে হারিয়ে সিকন্দার যেন বিশ্ব ক্রিকেটকে নতুন বার্তা দিলেন।