রবিবার ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিসিআই) সরকারি সম্প্রচারকারী সংস্থা স্টার স্পোর্টসের টুইটার অ্যাকাউন্টে তা স্মরণ করিয়ে দেওয়া হয়। বিরাটের বক্তব্যও তুলে ধরে স্টার স্পোর্টস কর্তৃপক্ষ। বিরাট বলেন, ভারতকে এশিয়া কাপ এবং বিশ্বকাপ জিততে সাহায্য করাই হল আমার মূল লক্ষ্য। সেই লক্ষ্যপূরণে আমি দলের জন্য যে কোনও কাজ করতে তৈরি।
advertisement
সম্প্রতি একেবারেই ‘বিরাট’ ছন্দে নেই কোহলি। আর পাঁচজনের নিরিখে মোটামুটি গড় থাকলেও তিনি নিজে যে মানদণ্ড তৈরি করেছিলেন, তার নিরিখে চূড়ান্ত ছন্দহীনতায় ভুগছেন ভারতীয় দলের প্রাক্তন অধিনায়ক। ২০১৯ সালের নভেম্বর থেকে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে কোনও শতরান আসেনি। অর্থাৎ ৭৮ ইনিংসে তিন অঙ্কের সংখ্যা ছুঁতে পারেননি কোহলি।
তবে শতরান না এলেও একটা সময় গুরুত্বপূর্ণ রান করছিলেন। যা সার্বিকভাবে গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছিল। আইপিএলে ছন্দে ছিলেন না বিরাট। ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে টি-টোয়েন্টি বা একদিনের সিরিজ - কোনওটাতেই রান পাননি। সেই পরিস্থিতিতে একটি মহলের তরফে তাঁকে দল থেকে বাদ দেওয়ার দাবি উঠেছে। তবে ভারতীয় বোর্ড যে এখনই সেই পথে হাঁটছে না, তা মোটামুটি বুঝিয়ে দেওয়া হয়েছে।
এমনকী একাধিক রিপোর্ট অনুযায়ী, এশিয়া কাপ এবং বিশ্বকাপের আগে ছন্দে ফেরাতে বিরাটকে জিম্বাবোয়ে সফরের দলে রাখা হতে পারে। রিকি পন্টিং সম্প্রতি জানিয়েছেন বিরাট কোহলি দলে থাকা মানে বিপক্ষ দলের ওপর মানসিক চাপ আগে থেকে থাকা। নামটাই প্রতিপক্ষকে চাপে রাখার পক্ষে যথেষ্ট।
কোহলি নিজেও দেওয়াল লিখন পড়তে পারছেন। ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে ভাল শুরু করেও বারবার বড় রান করতে ব্যর্থ হয়েছেন। কিন্তু এবার সেই ট্রেন্ড বদল করতে মরিয়া তিনি। নিঃসন্দেহে এশিয়া কাপ এবং টি টোয়েন্টি বিশ্বকাপ তার কাছে অ্যাসিড টেস্ট।