সাফ জানালেন,"এরকম অনুভূতি বলে বোঝানো কঠিন। কেরিয়ারের অন্যতম সেরা ম্যাচ, তাও আবার ঘরের মাঠে। ঘোর কাটছে না। চেন্নাইয়ের দর্শকরা সব সময় পাশে থেকেছেন। ম্যাচ সেরার পুরস্কার তাই দর্শকদের উৎসর্গ করলাম আমি"। একদিন আগেই গৌতম গম্ভীর দাবি করেছিলেন অনিল কুম্বলের পর ভারতের সবচেয়ে বড় ম্যাচ উইনার অশ্বিন। ম্যাচের নায়ক এদিন জানালেন,"এই উইকেট প্রথম টেষ্টের থেকে আলাদা ছিল। তুলনায় লাল মাটি কম ছিল। বোলিং নিয়ে বলতে গেলে এটুকু বলতে চাই কব্জির ব্যবহার এবং রান আপের ক্ষেত্রে কিছু পরিবর্তন এনেছিলাম আমি। ইংলিশ ব্যাটসম্যানদের খেলার ধরণ দেখে তা প্রয়োগ করেছি। এই পর্যায়ে দ্রুত পরিস্থিতি অনুযায়ী বদলাতে জানতে হয়"।
advertisement
কিন্তু চমকে দিয়েছে তাঁর ব্যাটিং। অশ্বিন বলছেন গত দু বছর ধরে প্রতিনিয়ত বিরাট কোহলি থেকে রবি শাস্ত্রী তাঁকে ব্যাটিংয়ে জোর দিতে বলেছেন। ব্যাটিং কোচ বিক্রম রাঠোর আলাদা করে সময় দেন তাঁকে। একটা সময় ঘরোয়া ক্রিকেটে ওপেন করতেন তিনি। জাতীয় দলের হয়ে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিরুদ্ধে টেস্ট শতরান আছে। তাই এই চ্যালেঞ্জটা সম্পর্কে তিনি খুব একটা চিন্তিত ছিলেন না।
কারণ হিসেবে জানিয়েছেন সিডনিতে অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে প্রায় হারা টেস্ট ড্র করার সময় যেভাবে ব্যাট করেছিলেন তিনি, সেখান থেকেই নিজের ব্যাটিং নিয়ে পুনরায় আশাবাদী হয়ে ওঠেন। ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে ঠিক করেই নেমেছিলেন পাল্টা আক্রমণ করে ইংলিশ বোলারদের চাপে ফেলবেন। ঘরের মাঠে উপস্থিত দর্শকদের তামিলে শুভেচ্ছা জানালেন তিনি। পাশাপাশি নিজের ধারাবাহিকতা বজায় রাখাই আসল লক্ষ্য জানাতে ভুললেন না 'অ্যাশ আন্না'।