আসলে তিনি মনে করেন তার সাদাকে সাদা বলার সাহস অনেকেই মেনে নিতে পারেননি। ২০১৭ সালের জুলাই মাসে ভারতীয় দলের প্রধান কোচের পদে বসেন রবি শাস্ত্রী। তাঁকে নিয়োগ করে সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়, সচিন তেন্ডুলকর এবং ভিভিএস লক্ষ্ণণ'কে নিয়ে তৈরি ক্রিকেট অ্যাডভাইজারি কমিটি। ২০১৯ বিশ্বকাপের মধ্যেই ১৩ জুন বিসিসিআই কোচ হিসেবে শাস্ত্রী'র মেয়াদ বাড়ায়। তারা ঘোষণা করে বিশ্বকাপের পর ৪৫ দিন শাস্ত্রীর মেয়াদ বাড়ানো হল।
advertisement
২০১৯-এর ১৬ অগস্ট তাঁর চুক্তি নবীকরন করে বোর্ড। ২০২১ টি-২০ বিশ্বকাপ পর্যন্ত মেয়াদ ছিল সেই চুক্তির। ভারতের হয়ে ৮০টি টেস্ট এবং ১৫০টি একদিনের আন্তর্জাতিক ম্যাচে প্রতিনিধিত্ব করা শাস্ত্রী নিজের পদত্যাগের সিদ্ধান্তের বিষয়েও মুখ খুলেছেন এই সাক্ষাৎকারে। তিনি জানিয়েছেন, কখন বিরাটদের কোচের পদ থেকে সরে দাঁড়ানোর কথা ভাবেন তিনি।
ইংল্যান্ড সফরে যাওয়ার আগের প্রসঙ্গ তুলে এনে তিনি বলেন, ইংল্যান্ডে যাওয়ার আগে আমি মানসিকভাবে সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলেছিলাম দায়িত্ব ছাড়ার বিষয়ে। কয়েকটা কারণ আমিকে এই সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্য করেছে। প্রথমত আমার বয়স ৬০-এ দোরগোড়ায় এবং সুপ্রিম কোর্টে বিভিন্ন নিয়ম আছে এই বয়স নিয়ে। দ্বিতীয়ত, আমি জানতাম আগামী দু'বছরও এই নিভৃতবাস বা জৈব সুরক্ষা বলয়ে একই রকম থাকবে। আইসোলেশনের মধ্যেই ক্রিকেট খেলতে হবে। ফলে অনেক হয়েছে আর নয়।
সম্প্রতি এক সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যম'কে দেওয়া সাক্ষাৎকারে শাস্ত্রী জানিয়েছেন, তাঁর সময়ে এমন বহু মানুষ ছিল যাঁরা বিরাট কোহলির নেতৃত্বাধীন ভারতীয় দলের ব্যর্থতা কামনা করতেন। কিন্তু দল যত বেশি সাফল্য পেত ততই জ্বলতেন এই ব্যক্তিরা। শাস্ত্রী'র কথায়, সব সময়ে বহু মানুষ থাকত যাঁরা চাইত আমরা ব্যর্থ নই কিন্তু আমার কাছে তাঁদের জন্য কোনও সময় ছিল না।
কিন্তু যাঁরা আমায় চেনেন তাঁরা জানেন আমার চামড়া কতটা মোটা। এগুলো আমার উপর কোনও প্রভাবই ফেলত না। তবে কোচ হিসেবে তিনি যেমন ভারতীয় দলকে আত্মবিশ্বাস দিয়েছেন, তেমনই এমন অনেক দাবি করেছেন যা নিয়ে সমালোচিত হতে হয়েছিল তাঁকে। অস্ট্রেলিয়ায় সিরিজ জয়ের পর তিনি দাবি করেন এই জয় নাকি ভারতের প্রথম বিশ্বকাপ জয়ের থেকেও বড়। গৌতম গম্ভীর তীব্র প্রতিবাদ করেন।