তবে শুধু গালাগাল দিয়ে অস্ট্রেলিয়ার মতো দলকে তাদের মাঠে হারানো সম্ভব নয়। তার জন্য কঠিন পরিশ্রম, স্কিল এবং হার না মানা মনোভাব দেখানো প্রয়োজন ছিল। সেটা দেখাতে পেরেছেন বিরাট কোহলি, অজিঙ্কা রাহানে, ঋষভ পন্থ, মহম্মদ শামি, সিরাজদের মত ক্রিকেটাররা। তাই দিনের শেষে প্রথম টেস্ট লজ্জাজনক হারের পর দুরন্ত কামব্যাক ঘটিয়ে সিরিজ জিতে নিয়েছিল ভারত। প্রথম টেস্টের পর বিরাট ফিরে এলেও হাল ছাড়েনি ভারত।
advertisement
শার্দুল ঠাকুর অনবদ্য পারফর্ম করেছিলেন। রবি শাস্ত্রী নিশ্চিত আগ্রাসী ক্রিকেট খেলেই অস্ট্রেলিয়ানদের হারানো সম্ভব। শুধু তাই নয়, কোচ হওয়ার পর দলের ফিটনেস এবং ফাস্ট বোলারদের টেস্ট ক্রিকেটে আরও বেশি নিখুঁত করে তোলার পেছনে তিনি এবং ভরত অরুণ প্রচুর সময় দিয়েছিলেন জানিয়েছেন শাস্ত্রী। কারণ তিনি নিশ্চিত ছিলেন অস্ট্রেলিয়াতে এবং ইংল্যান্ডে ভারতকে টেস্ট ম্যাচ জিততে হলে ফাস্ট বোলারদের উইকেট নিতে হবে।
বাউন্সার থেকে শুরু করে বিপক্ষের শরীর লক্ষ্য করে বল, নেট সেশনে বুমরাহ, সিরাজ, শামিদের নিয়ে অনুশীলন চলত। অস্ট্রেলিয়ার মিচেল স্টার্ক, প্যাট কামিন্স, হাজেলউডদের বাউন্সি উইকেটে সামলানো মুখের কথা ছিল না। চেতেশ্বর পূজারা, শামি, জাদেজা চোট পেয়েছিলেন অস্ট্রেলিয়ানদের শরীর লক্ষ্য করে ধেয়ে আসা বলে। রবি শাস্ত্রী মনে করেন একের পর এক চোট থাকলেও, দলের মধ্যে লড়াইয়ের মনোভাব ছিল শেষ পর্যন্ত।
সিরাজ প্রথম সিরিজ অনুযায়ী দুরন্ত পারফর্ম করেছিলেন। গিল এবং ঋষভ পন্থ ব্যাট হাতে পাল্টা আক্রমণ করেন অস্ট্রেলিয়ার বোলারদের। সব মিলিয়ে এই ভারতীয় দলকে গালাগাল দিয়ে এবং শরীরে আঘাত করে হারিয়ে দেওয়া সম্ভব নয় বুঝে গিয়েছিল অস্ট্রেলিয়ানরা।
রবি শাস্ত্রী চান ফরম্যাট আলাদা হলেও বছর শেষে এই মানসিকতা নিয়ে অস্ট্রেলিয়ায় টি টোয়েন্টি বিশ্বকাপ খেলতে যাক ভারত। কোচ হিসেবে রাহুল দ্রাবিড় যথেষ্ট অভিজ্ঞ মনে করেন তিনি। কিন্তু ভাল খেলার পাশাপাশি আগ্রাসী মনোভাব এবং প্রয়োজনে গালাগালি দিতে হলেও যেন পিছপা না হয় ভারত জানিয়ে দিয়েছেন রবি শাস্ত্রী।