তবে কলকাতার হয়ে প্রথম ম্যাচে নেমেই নজর কেড়েছিলেন তিনি। মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের বিরুদ্ধে ১৫ বলে ৫৬ রানের ইনিংস জেতায় শ্রেয়স আয়ারের দলকে। সেই ম্যাচে দুই উইকেটও নেন তিনি। পরের তিন ম্যাচ খেলেন কামিন্স। তাঁর ঠিকানা হয়েছিল কেকেআরের ডাগআউট। সেটাই মানতে পারছেন না শাস্ত্রী।
advertisement
সোমবার মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের বিরুদ্ধে কলকাতার জয়ে বড় অবদান রাখেন কামিন্স। নেন তিন উইকেট। তিনিই নাইটদের সফলতম বোলারও। এরপরই ভারতীয় দলের প্রাক্তন কোচ শাস্ত্রী হিন্দিতে ধারাভাষ্য দেওয়ার সময় তোপ দাগেন নাইট রাইডার্স ম্যানেজমেন্টকে। বলেন, যাক, অবশেষে কামিন্সকে খেলানো হল। জানি না কোন যুক্তিতে ওকে গত কয়েকটা ম্যাচে বেঞ্চে বসিয়ে রাখা হচ্ছিল।
ও এখন বিশ্বের অন্যতম জোরে বোলার। বিশ্বকাপ জয়ীও। তার উপর টেস্টে অস্ট্রেলিয়ার অধিনায়ক। সেই কামিন্সকেই কিনা প্রথম এগারোর বাইরে রাখা হচ্ছিল। অবশ্য, একা কামিন্সের বাইরে থাকা নিয়ে নয়, কলকাতার প্রথম দল নিয়ে অন্য বিতর্কও রয়েছে। চলতি মরশুমে ২০জন ক্রিকেটারকে খেলিয়েছে নাইটরা। কাজটা কোচ, কিংবা বড়জোর অধিনায়কের থাকা উচিত, সে কাজেও কলকাতার প্রধান নির্বাহী নাক গলান বলে শ্রেয়াসের কথায় ইঙ্গিত পাওয়া গিয়েছে।
টুর্নামেন্টের শুরু থেকেই নিজেদের একাদশ নিয়ে পরীক্ষা-নিরীক্ষা চালিয়ে যাচ্ছে কেকেআর। ভেঙ্কটেশ আইয়ার থেকে শুরু করে অজিঙ্কা রাহানে, বাবা ইন্দ্রজিৎ, অ্যারন ফিঞ্চ, সুনীল নারাইন—প্রত্যেকেই খেলেছেন ওপেনার হিসেবে।
অংকের হিসেবে অল্প আশা থাকলেও, আসলে কিন্তু এবার শাহরুখ খানের দলের যাত্রা প্রায় শেষ সেটা মোটামুটি স্পষ্ট হয়ে গিয়েছে ইতিমধ্যে। আপাতত নিয়ম রক্ষার ম্যাচে যতটা উন্নত পারফরম্যান্স তুলে ধরা যায় সেটাই একমাত্র লক্ষ্য হওয়া উচিত বেগুনি সোনালী শিবিরের।