রঞ্জি ট্রফিতে বাংলার প্রথম দুই ম্যাচই অ্যাওয়ে ম্যাচ। ৫ জানুয়ারি বিশাখাপত্তনমে অন্ধ্রপ্রদেশের বিরুদ্ধে ম্যাচ দিয়ে অভিযান শুরু করবে বাংলা। তারপর কানপুরে বাংলা খেলবে উত্তর প্রদেশের বিরুদ্ধে। শুক্রবার সেই দুই ম্যাচের জন্য বেছে নেওয়া হল বাংলা দল। ১৮ সদস্যের দল বেছে নিয়েছে সিএবি। মনোজ তিওয়ারির নেতৃত্বে বাংলা দলে একাধিক তরুণ ক্রিকেটার সুযোগ পেয়েছেন। মূলত অভিজ্ঞতা ও তারুণ্যের মিশ্রণে বাংলা দল তৈরি করা হয়েছে। নতুন মরশুমে নতুন ভাবনা মাথায় রেখে প্রথম দুটো ম্যাচের জন্য দল বেছেছেন শুভময় দাস এবং অন্যান্য নির্বাচকরা।
advertisement
অভিমন্যু ঈশ্বরন, শাহবাজ আহমেদ, মুকেশ কুমারের অভাব ঢাকতে একঝাঁক নতুন মুখের ক্রিকেট নৈপুন্যে আস্থা রাখতে চাইছেন নির্বাচকরা। সৌরভ পাল, শ্রেয়াংশ ঘোষ, শুভম চট্টোপাধ্যায়, সুরজ সিন্ধু জয়শওয়াল, কৌশিক মাইতি, সুমন দাসের মত একাধিক নতুন মুখের ভিড় এবারের দলে। গত মরশুমে বাংলা দল রঞ্জি ট্রফির ফাইনাল খেললেও ওপেনার সমস্যা প্রায় প্রতিটি ম্যাচে চিন্তায় ফেলেছে। মোট সাতটি জুটি গতবছর বাংলার ইনিংস ওপেন করেছিলেন। এমনিতেই ভারতীয় দলে থাকার জন্য দলে নেই অভিমন্যু। ফলে প্রথমবার ওপেনার হিসেবে ডাক পেয়েছেন সৌরভ পাল এবং শ্রেয়াংশ ঘোষ।
আরও পড়ুন– বর্ষবরণে তুষারপাতের সম্ভাবনা দার্জিলিঙে, দক্ষিণবঙ্গে আবহাওয়া কেমন থাকবে, জেনে নিন
ইস্টবেঙ্গলের সৌরভ পাল এবং কালীঘাট ক্লাবের শ্রেয়াংশ ঘোষ দু’জনেই বাঁ হাতি ওপেনার। গতবছর দলের হয়ে ওপেন করা কৌশিক ঘোষ,অভিষেক রামনেয় মত পুরানো মুখে আস্থা না রেখে রঞ্জি ট্রফির প্রথম দুই ম্যাচে পরীক্ষা নীরীক্ষার রাস্তায়। অভিমন্যু ঈশ্বরনের মতো মুকেশ কুমারও ভারতীয় সিনিয়র দলে ব্যস্ত। শাহবাজ আহমেদ চোট সারাতে জাতীয় ক্রিকেট একাডেমিতে রয়েছেন। বিজয় হাজারে ট্রফিতে খেলার সময় চোট পেয়েছিলেন তিনি। সাম্প্রতিক সময়ে বাংলা দলের হয়ে ধারাবাহিক ভাবে পারফরম্যান্স করেছেন অলরাউন্ডার শাহবাজ। তবে তিনি অনিশ্চিত থাকা দলের সুযোগ পেয়েছেন প্রয়াস রায় বর্মন।
নির্বাচক প্রধান শুভময় দাস বলেন, ‘‘তারুণ্য এবং অভিজ্ঞতা মিশিয়ে দল গড়া হয়েছে। একঝাঁক নতুন মুখ এবারের দলে। তবে প্রত্যেকেই কিন্তু ঘরোয়া ক্রিকেটে পারফরম্যান্স করেছে। তাই বাংলার ক্রিকেটের ভবিষ্যতের কথা চিন্তা করেই পরীক্ষার রাস্তায় হাঁটা হয়েছে। তবে প্রতিটি নামই প্রতিভাবান এবং তারা ভালো খেলবে বলেই আশা করছি।”
নতুন মুখ ছাড়াও অধিনায়ক মনোজ তিওয়ারি, অনুষ্টুপ মজুমদার এবং সুদীপ ঘরামিরা বাংলার ভরসা। উইকেটরক্ষক অভিষেক পোড়েলও প্রথম বছরের তুলনায় অনেকটাই পরিণত। গত কয়েক মরশুমে বাংলার বোলিং ডিপার্টমেন্ট সাফলের নেপথ্য কারিগর। বিশেষ করে মুকেশ কুমার, আকাশদীপ, ঈশাণ পোড়েল যেকোনও প্রতিপক্ষের কাছে দুঃস্বপ্ন বয়ে নিয়ে এসেছেন। এবার মুকেশের অনুপস্থিতিতে আকাশদীপ এবং ঈশানের উপর নতুন বলের দায়িত্ব। দলে রয়েছেন শামির ভাই মহম্মদ কাইফ। আজ, শনিবার থেকে দিন তিনেক বাংলা দল সল্টলেক যাদবপুর ক্যাম্পাসের মাঠে অনুশীলন করবে। তারপর ২ জানুয়ারি ম্যাচ খেলতে রওনা দেবে টিম বাংলা ৷