এদিন টস হেরে ব্যাট করতে নেমে লাঞ্চের আগেই বাংলার অর্ধেক দল সাজঘরে ফেরত চলে যায়। ইডেনে লাল বলের ক্রিকেটে বলা হয়ে থাকে দিনের প্রথম সেশনটা খুব গুরুত্বপূর্ণ। সেটা কাটিয়ে দিতে পারলেই দিনভর ব্যাট করা অনেকটা সহজ হয়ে যায়। কিন্তু ঘরের মাঠে, চেনা উইকেটে সেই কাজটাই করতে পারলেন না বাংলার ব্যাটাররা। অনুশীলনে বেশি করে বাঁ হাতি পেসার খেললেও জয়দেব উনাদকাট ও চেতন সাকারিয়ার আগুনে স্পেলের সামনে ধসে যায় বাংলার টপ অর্ডার।
advertisement
ব্যাট করতে নেমে জয়দেব উনাদকাট ও চেতন সাকারিয়ার দাপটে ৩ রানের মধ্যে ৩ উইকেট হারিয়ে বসে বাংলা। চতুর্থ উইকেট পড়তেও বেশি সময় লাগেনি। ৩৪ রানের মধ্যে ৫ উইকেট হারিয়ে বসে বাংলা। সাজঘরে ফেরত যায় বাংলার পুরো ব্যাটিং টপ অর্ডার। অভিমুন্য ঈশ্বরন, ফাইনালে অভিষেক হওয়া সুমন্ত গুপ্ত, সুদীপ ঘরামি, মনোজ তিওয়ারি, অনুষ্টুপ মজুমদার সকলেই ব্যর্থ হন। কিছুটা লড়াই করার চেষ্টা করেন শাহবাজ আহমেদ ও আকাশ ঘটক। দুজন মিলে জুটিতে ৩১ রান যোগ করে। ৬৫ রানে ষষ্ঠ উইকেট পড়ে বাংলার। ১৭ রান করে আকাশ ঘটক আউট হন চেতেন সাকারিয়ার বলে।
এরপর ইনিংসের রাশ ধরেন শাহবাজ ও অভিষেক। ঠান্ডা মাথায় এগিয়ে নিয়ে যান দলের স্কোর বোর্ড। শতরানের পার্টনারশিপ করেন শাহবাজ আহমেদ ও অভিষেক পোড়েল। নিজের অর্ধশতরানও পূরণ করেন শাহবাজ আহমেদ। কিন্তু চা বিরতির শেষ বলে আউট হন শাহবাজ। ১৬৬ রানে সপ্তম উইকেট পড়ে বাংলার। ৬৯ রান করেস ডি জাদেজার বলে আউট হন শাহবাজ আহমেদ। চা বিরতির পর নিজের অর্ধশতরান করে আউট হন অভিষেক পোড়েলও। চিরাগ জানির শিকার হন তিনি। শেষের দিকে বাংলার টেলেন্ডাররা খুব একটা লড়াই দিতে পারেনি। ১৭৪ রানে অলআউট হয়ে যায়। ৩টি করে উইকেট নেন জয়দেব উনাদকাট ও চেতন সাকারিয়া। ২টি করে উইকেট নেন চিরাগ জানি ও ডি জাদেজা।
আরও পড়ুনঃ Lionel Messi: ফের 'বর্ষসেরা ফুটবলার' হলেন লিওনেল মেসি, হারিয়ে দিলেন এমবাপে-নেইমার-রোনাল্ডোকে
প্রথম ইনিংসে ১৭৪ রান তাড়া করতে নেমে শুরুটা ভালোই করেছিল সৌরাষ্ট্রের দুই ওপেনার হার্ভিক দেশাই ও জয় গোহিল। ওপেনিং জুটিতে ৩৮ রান করেন তারা। এরপর ব্যক্তিগত ৬ রান করে আকাশ দীপের বলে আউট হন জয় গোহিল। এরপর দলের স্কোর বোর্ড এগিয়ে নিয়ে যান হার্ভিক দেশাই ও বিশ্বরাজ জাদেজা। ৩৫ রান যোগ করেন জুটিতে। ৭৩ রানে দ্বিতীয় উইকেট পড়ে। ২৫ রান করে মুকেশ কুমারের শিকার হন বিশ্বরাজ জাদেজা। প্রথম দিনের শেষে সৌরাষ্ট্রের স্কোর ২ উইকেটে ৮১। বাংলার ৯৩ রান পিছিয়ে। প্রথম দিনের শেষে চাপে বাংলা শিবির। দ্বিতীয় দিনে দ্রুত উইকেট তুলতে না পারলে সেই চাপ আরও বাড়বে।