বাংলা ও সৌরাষ্ট্র দলের খেলোয়ার, সাপোর্ট স্টাফ, আম্পায়ার সহ অ্যাসোসিয়েশনের কর্তারা, মাঠ কর্মী ও সাংবাদিকরা শুধুমাত্র মাঠে ঢুকতে পারবেন। সৌরাষ্ট্র ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশনের প্রেসিডেন্ট জয়দেব শাহ বলেন, "বোর্ডে যে নির্দেশিকা এসছে সেটা মেনেই আমরা রঞ্জি ফাইনালের শেষ দিন স্টেডিয়াম দর্শকশূন্য রাখছি। ইতিমধ্যেই প্রেস বিজ্ঞপ্তি দিয়ে সেটা জানানো হয়েছে। দর্শকদের মাঠের না আসার জন্য অনুরোধ করা হচ্ছে"
advertisement
রঞ্জি ফাইনালে প্রথম চারদিন গড়ে হাজার দুয়েক দর্শক খেলা দেখতে এসেছিলেন। সমস্ত দর্শক সৌরাষ্ট্র ক্রিকেট দলের জন্য সমর্থন করেছিলেন। কলকাতা থেকেও একজন সমর্থক সৌরাষ্ট্র এসেছিলেন বাংলাকে সমর্থন করবেন বলে। সেই অমিত বন্দ্যোপাধ্যায় শুক্রবার বাড়ি ফিরে যাচ্ছেন। রাজকোটে করোনা আতঙ্কের মাঝে শুক্রবার ফাইনালের শেষ দিন খেলা শুরু হবে নির্ধারিত সময়ের 15 মিনিট আগে। ম্যান্ডেটারি ওভার বাকি থাকায় এ সিদ্ধান্ত।
এদিকে ইতিমধ্যেই আইপিএল ঘিরে অনিশ্চয়তা তৈরি হয়েছে। ভারত ও দক্ষিণ আফ্রিকা একদিনের সিরিজের বাকি দুটি ম্যাচ দর্শকশূন্য স্টেডিয়ামে হওয়ার সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে। সিরিজের শেষ একদিনের ম্যাচে 18 তারিখে ইডেনে। সেখানেও দর্শকশূন্য হওয়ার সম্ভাবনা। টিকিট বিক্রি বন্ধ রাখা হয়েছে। নবান্নে গিয়ে বৈঠক করে এসেছেন তিনি প্রেসিডেন্ট অভিষেক ডালমিয়া। দু-একদিনের মধ্যে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
এদিকে প্রথম ইনিংসে লিড পেতে বাংলার এখনও প্রয়োজন 72। হাতে রয়েছে 4 উইকেট। 91 রানের পার্টনারশিপ গড়ে ক্রিজে রয়েছেন ক্রাইসিস-ম্যান অনুষ্টুপ ও লড়াকু অর্ণব। সৌরাষ্ট্র প্রথম ইনিংসে 425 তাড়া করতে নেমে চতুর্থ দিনের শেষে বাংলার স্কোর 6 উইকেটে 354। অনুষ্টুপ-অর্ণব জুটির ওপরই ভরসা রাখছে টিম ম্যানেজমেন্ট। তবে ক্রিকেট বিশেষজ্ঞদের মতে ম্যাচ এখন 50- 50। সকালের প্রথম ঘণ্টায় ঠিক হয়ে যেতে পারে ম্যাচের ভাগ্য। চতুর্থ দিন সকালে সুদীপ ও ঋদ্ধিমান মিলে দলকে এগিয়ে নিয়ে যায়। 81 রানে আউট হন সুদীপ। 64 রানে প্যাভিলিয়নে ফেরেন ঋদ্ধিমান। ক্যালেন্ডার আকাশদীপ মুকেশ কুমার ঈশান পোড়েল দিনের খেলা শেষে আলাদা করে নিতে অনুশীলন করানো হয়।