সারা দেশের বাইক রেসারদের কাছে ‘র্যালি অফ হিমালয়া’ একটি স্বপ্নের প্রতিযোগিতা। চুলচেরা বিশ্লেষণ, গতির লড়াই এর প্রতি মাইক্রো সেকেন্ডের গুরুত্ব অপরিসীম। স্বাভাবিকভাবে এ প্রতিযোগিতায় সেরা স্থান দখল করা, অনেক বেশি উৎসাহের একজন বাইক রেসারের কাছে। বঙ্গ সন্তানের এমন সাফল্যে রীতিমতো উচ্ছ্বসিত জেলার পাশাপাশি সারা বাংলার মানুষ।
দক্ষিণবঙ্গ অর্থাৎ সমতলে থেকে পাহাড়ি রাস্তায় এমন গতির প্রতিযোগিতা মোটেও সহজ নয়। প্রতিদিন একটু একটু করে কঠোর অনুশীলনের মধ্যে দিয়ে নিজেকে পরিণত করা। সহায়কের কথায়, প্রতিটি প্রতিযোগিতা আলাদা। তাই প্রতিযোগীদের কাছে প্রত্যেক রেসে অংশগ্রহণের প্রস্তুতি ভিন্ন হয়ে থাকে।
advertisement
একের পর এক সাফল্য পেয়ে সায়ক এখন রেসের জগতে একটি উজ্জ্বল নক্ষত্র। অল্পদিনেই সারা দেশে বেশ সুনাম অর্জন করেছেন তিনি।
একজন সফল রেসার, দক্ষ চালক হতে গেলে মানসিকভাবে আরও বেশি ফিট এবং ধৈর্য প্রয়োজন।
শৈশব থেকে ক্রিকেটার হওয়ার স্বপ্ন ছিল তাঁর। তার পর একটি দুর্ঘটনা জীবনের মোড় ঘুরিয়ে দিয়ে। উদীয়মান ক্রিকেটার থেকে রেসার জীবনে প্রবেশ সায়কের। তার পর একটু একটু করে নিজেকে পরিণত করা, হাওড়া থেকে কখনও কলকাতা, কখনও সিঙ্গুর। বিভিন্ন জেলায় পৌঁছে নিয়মিত অনুশীলন।
জেতার জেদ, ধৈর্য’র উপর ভরসা রেখেই সামনের দিকে এগিয়ে চলেছেন। কঠিন অনুশীলনের উপর ভর করেই গত কয়েক বছরে বেশ কিছু সাফল্য। তার মধ্যে তৃতীয়বারে র্যালি অফ হিমালয়া চ্যাম্পিয়ন আরও বেশি মনোবল বাড়িয়ে দিয়েছে।
আরও পড়ুন- ১৪ বছরের তারকা ক্রিকেটার বৈভব সূর্যবংশী বিহার ভোটে বড়সড় দায়িত্বে
কয়েক বছরের কঠিন লড়াইয়ে এক এক করে বেশ কিছু সাফল্য নিজের ঝুলিতে তুলেছেন তিনি। সেই সমস্ত সাফল্যের জেরেই বর্তমানে কয়েকটি সংস্থার সহযোগিতায় পেয়ে আরও বেশি আশার আলো দেখছেন সায়ক।