গুজরাত টাইটানস - ১৬১/৫
গুজরাত টাইটানস জয়ী ৫ উইকেটে
#মুম্বই: আইপিএলে এখনও পর্যন্ত দেখা গিয়েছে যে দল পরে ব্যাট করছে জয়ের সম্ভাবনা তাদের বেশি। দ্বিতীয়ার্ধে বোলিং দলের কাছে শিশিরের চ্যালেঞ্জ সামলানো কঠিন হয়ে পড়ছে। আজ মহম্মদ শামির প্রথমদিকের দুরন্ত স্পেলে যখন তিনটি উইকেট হারিয়ে রীতিমতো ব্যাকফুটে ছিল লখনউ, সেখান থেকে দীপক হুদা এবং তরুণ ব্যাটসম্যান আয়ুশ বাদোনি মিলে পাল্টা লড়াই করে যেভাবে একটা প্লাটফর্মে পৌঁছেছিল, তার জন্য সাহস এবং লড়াই লাগে।
advertisement
কেউ আশা করেনি ওই ধ্বংসস্তূপ থেকে লখনউ সুপার জায়ান্ট ১৫৮ রানে নিজেদের নিয়ে যাবে। কিন্তু সেটা সম্ভব হয়েছিল। কিছুটা লড়াইকরবে কে এল রাহুলের দল, সেই ইঙ্গিত পাওয়া গিয়েছিল। কিন্তু গুজরাত টাইটান্স শুরুটা মোটেও ভাল করতে পারেনি। শুভমন গিল রান না করেই সহজ ক্যাচ দিয়ে গেলেন হুদার হাতে। তিন নম্বরে নেমে ব্যর্থ বিজয় শংকর। বোল্ড হলেন চামিরার বলে।
কিন্তু হার্দিক পান্ডিয়া এবং ম্যাথু ওয়েড মিলে এরপর স্কোরবোর্ড এগিয়ে নিয়ে যেতে থাকেন। বিশেষ করে অধিনায়ক হার্দিক। বেশ কিছু দেখার মত শট মারলেন। ৩৩ রানের ইনিংস সাজানো ছিল পাঁচ বাউন্ডারি এবং একটি ছক্কা দিয়ে। কিন্তু যখন ক্রমশ ভয়ঙ্কর হয়ে উঠছেন গুজরাত টাইটান্স অধিনায়ক, তখনই বুদ্ধিদীপ্ত বল করে তাকে আউট করলেন বড় ভাই ক্রুনাল। লং অফে সহজ ক্যাচ নিলেন মণীশ পান্ডে।
এরপর বেশিক্ষণ টিকতে পারলেন না উইকেট-রক্ষক ব্যাটসম্যান ম্যাথু ওয়েড (৩০)। দীপক হুদার বলে বোল্ড হলেন ক্রস চালাতে গিয়ে। যে গতিতে রান তোলার কথা ছিল গুজরাত দলের, সেটা কিছুতেই সম্ভব হচ্ছিল না। লখনউয়ের ক্রুনাল, দীপক হুদা, রবি বিষ্ণইয়ের মত স্পিনাররা প্রচন্ড কৃপণ বোলিং করছিলেন। হাত খোলার জায়গা পাচ্ছিলেন না গুজরাত ব্যাটসম্যানরা।
দুই বাহাতি ব্যাটসম্যান ডেভিড মিলার এবং রাহুল তেওয়াটিয়া পর্যন্ত ঠিকঠাক টাইমিং করতে ব্যর্থ হচ্ছিলেন। ক্রমশ বল কমে আসছিল। আস্কিং রেট বেড়ে চলেছিল। বলের গতির তারতম্য ঘটিয়ে ব্যাটসম্যানদের কাজটা কঠিন করে দিয়েছিলেন লখনউ বোলাররা।
১৫ ওভারের পরে রান এবং বল পার্থক্যটা দ্বিগুণ হয়ে গেল। ফিল্ডিং করার ক্ষেত্রে অনেক বেশি মরিয়া মনে হচ্ছিল লখনউ দলকে। জয় দিয়ে শুরু করতে মরিয়া ছিল দুটো দল। ডেভিড মিলার এবং রাহুল তেওয়াটিয়া ১৬ ওভার থেকে বড় শট খেলা শুরু করলেন। দীপক হুদা রবি বিষ্ণইদের যথেচ্ছ পেটালেন। মুহুর্তের মধ্যে ম্যাচটা ঢলে পড়ল গুজরাত টাইটান্স দলের দিকে।
আবেশ খানের বলে মিলার ( ৩০) ফিরে যাওয়ার পর আবার কিছুটা স্বস্তির নিঃশ্বাস নিল লখনউ সুপার জায়ান্ট। শেষ দুই ওভারে প্রয়োজন ছিল ২০ রান। চামিরার প্রথম বলেই বাউন্ডারি মারলেন সাদারাঙ্গানি। শেষ ওভারে প্রয়োজন ছিল ১১ রান। আবেশ খানকে প্রথম বলেই চার হাঁকান সাদারাঙ্গানি। দ্বিতীয় বলে আবার বাউন্ডারি। দুই বল বাকি থাকতেই বাউন্ডারি মেরে
গুজরাতকে জয় এনে দিলেন তেওয়াতিয়া।