#পার্ল: বাঁচা-মরার প্রশ্ন। সম্মানের প্রশ্ন। টিকে থাকার লড়াই। টেস্ট সিরিজ হারের পর সাদা বলের একদিনের সিরিজ জিতে জবাব দেওয়ার প্লাটফর্ম। যেভাবে ইচ্ছে ভারতীয় সর্মথকরা দেখেছিলেন এই একদিনের সিরিজটাকে। রামধনুর দেশ থেকে সম্পূর্ণ খালি হাতে ফিরতে চায়নি ভারত। কিন্তু বাস্তবটা বড় কঠিন। আর বাস্তব হল টেস্ট সিরিজ হারের পর, এবার একদিনের সিরিজও খুইয়ে আসতে হচ্ছে টিম ইন্ডিয়াকে।
advertisement
শুক্রবার অবশ্য টস ভাগ্য সহায় ছিল অধিনায়ক কে এল রাহুলের। ব্যাট হাতে নিজে অর্ধশতরান করেন। ঋষভ পন্থ এবং শার্দুল ঠাকুর মিলে ভারতের রান ২৮৭ পর্যন্ত নিয়ে যান। প্রথমে ব্যাট করে অন্তত ৩০০ করতে না পারা ভারতের ব্যর্থতা। তাও এই রান লড়াইয়ের পক্ষে নেহাত ছিল না। কিন্তু শুরু থেকেই মাখনের মতো ব্যাট করতে থাকলেন কুইন্টন ডি কক এবং জানেমান মালান।
ডি কক যেন ঋষভ পন্থ এর পাল্টা জবাব দিতে নেমেছিলেন। ভারতীয় উইকেট রক্ষকের ৮৫ রানের ইনিংসের জবাবে দক্ষিণ আফ্রিকার উইকেটরক্ষক থামলেন ৭৮ করে। ছয়টি বাউন্ডারি এবং তিনটি ছক্কা ছিল ইনিংসে। শার্দুল ঠাকুর এলবিডব্লিউ করেন। ওপেনিং পার্টনারশিপে ১৩২ তোলে দক্ষিণ আফ্রিকা। কিন্তু এরপর জানেমন মালান এবং অধিনায়ক বাভুমা এগিয়ে নিয়ে যেতে থাকেন প্রোটিয়াদের রান।
ব্যক্তিগত ৯১ রান করে বুমরাহর বলে বোল্ড হন মালন। এরপর যুজবেন্দ্র চাহাল ভারতকে এনে দেন বহু মূল্যবান বাভুমার উইকেট। এই সময় ৮৬ বলে ৭৪ রানের প্রয়োজন ছিল দক্ষিণ আফ্রিকার। উইকেটে দুজন নতুন ব্যাটসম্যান। কয়েক মুহূর্তের জন্য আশার আলো জেগেছিল ভারতের।
কিন্তু ছন্দে থাকা ভ্যান ডের ডুসেন কোন ভুল করেননি। তাকে সহায়তা করলেন মার্করাম। ভুবনেশ্বর কুমার প্রথম স্পেলে ৪ ওভারে ৪০ রান দিলেন। নিজের সেরা সময় পেছনে ফেলে এসেছেন ভুবি পরিষ্কার। প্রথম ম্যাচে বল না পেলেও আজ বল করলেন ভেঙ্কটেশ আইয়ার।
দারুণ উল্লেখযোগ্য বল না করলেও খুব খারাপ করেননি। তবে চাহাল দারুণ চেষ্টা করেছিলেন। একটি উইকেট পাওয়া তার খারাপ ভাগ্য। একটি উইকেট পেলেও নিজেকে উজাড় করে দিলেন বুমরাহ। শেষ পর্যন্ত ১১ বল বাকি থাকতেই ম্যাচ এবং সিরিজ পকেটে পুরে নিল প্রোটিয়া ব্রিগেড।