মধ্যপ্রাচ্যের বাকি সব দেশের মতো কাতারেও সমকামিতাকে অপরাধ হিসেবেই দেখা হয়। তবে বিশ্বকাপ আয়োজক কমিটি তাদের স্বাগত জানিয়েছে। এলজিবিটি ফ্যানরা এরই মধ্যে টিকিট কিনে পছন্দমতো হোটেলে বুকিং দিচ্ছে। স্ক্যান্ডিনেভিয়ান মিডিয়ার অনুসন্ধানে বেরিয়ে আসে, সমকামী শোনার পর তাদের প্রতি খুব একটা আগ্রহ দেখায়নি ৬৯টি হোটেল।
advertisement
তিনটি হোটেল সরাসরিই ‘না’ বলে দেয়। আরেকটি হোটেল জানায়, সমকামীদের রুম বুকিং দেওয়া তাদের পলিসির পরিপন্থী। তবে বাকি হোটেলগুলোতে কোনো সমস্যা হয়নি। ৩৩টি হোটেলে জরিপ চালিয়ে এমন তথ্য পেয়েছে সাংবাদিকরা। এ ব্যাপারে ডেনিশ ফুটবল অ্যাসোসিয়েশনের সিইও জ্যাকব ইয়ানসেন বলেন, বিশ্বকাপ দেখতে যাওয়া ভক্তদের জন্য এটা হতাশার।
তারা যেই মতাদর্শেরই হোক না কেন নিরাপদ হোটেল পাওয়াটা তাদের অধিকার। এর আগে কাতারের মেজর জেনারেল আব্দুল আজিজ আব্দুল্লাহ আল আনসারি জানান, হোমো-সেক্সুয়ালদের মাঠে প্রবেশে কোনো বাধা নেই। কিন্তু তিনি সমকামিতা প্রচারণার ঘোরতর বিরোধী। রংধনু পতাকা মূলত সমকামী স্বাধীনতা ও তাদের অধিকারের প্রতীক বহন করে। আনসারির ভয়, কাতারে হামলার শিকার হতে পারেন সমকারীরা। তিনি বলেন, আমি যদি এটা না করি, পাশে থাকা অন্য কারোর আক্রমণের শিকার হতে পারে সে।