শতবর্ষ পুরোনো এই মার্কেটের সংকীর্ণ অলি গলি বিশ্বকাপের সম্ভাব্য ১০ লক্ষ লোকের পছন্দের দ্রব্য কেনার ঠিকানা হতে চলেছে। সৌক স্টেবলস থেকে পর্যটকদের উট ও টাট্টু ঘোড়া চড়ানোর ব্যবস্থা করা হয়। সেই আস্তাবলের প্রধান আব্দুল রহমান মহম্মদ আল-নামা জানালেন, অনেক দর্শক সমাগম হবে,আমরা এরকম অভিজ্ঞতার সম্মুখীন কোনোদিন হইনি। ইনশাল্লাহ , আমরা প্রস্তুত।
advertisement
আরও পড়ুন - বিশ্বকাপের আগে ক্রমশ ভয়ঙ্কর হচ্ছেন মেসি, ভেঙে দিলেন রোনাল্ডোর রেকর্ড
ইতিমধ্যেই দর্শকরা কাতারে ঢুকতে শুরু করেছেন। ফুটবল অনুরাগীদের জন্য আকর্ষণের অনেক কিছু, অস্থায়ী স্টোর তৈরি করা হয়েছে। শতাধিক ছোট দোকান তৈরি হয়েছে। যেখান থেকে ধুপ, মশলা , কার্পেট, সোনা, বাজপাখি সহ অন্যান্য পশু পাখিও বিক্রি করা হচ্ছে। বিশ্বকাপের সময় প্রতিদিন ২৪ ঘন্টা এই দোকানগুলি খোলা থাকবে।
বিংশ শতকের প্রথম দিকে সৌক ওয়াকিফ মার্কেট খুলেছিল। ব্যবসায়ীরা মার্কেটের প্রবেশদ্বারে দাঁড়িয়ে চিৎকার করে পণ্য নেবার জন্য গ্রাহকদের ডাকতেন। এজন্যই এই মার্কেটের অপর নাম ' স্ট্যান্ডিং মার্কেট'। ২০০৩ সালে বিধ্বংসী আগুনে এই বাজারটি ক্ষতিগ্রস্থ হয়। নতুন করে বাজারটিকে তৈরি করা হয়।
কাতার জাতীয় মহিলা গলফ দলের সদস্য ইয়াসনিম ঘানেম জানান, বিদেশিরা খুব উপভোগ করবেন। আরব সংস্কৃতি ও ফুটবলের মেলবন্ধন ঘটবে এই বিশ্বকাপে। বিশ্বকাপকে নিয়ে অনেক আশা কাতারের ব্যবসায়ীদের। নামা জানান, আমার মনে হয় অনেক পর্যটকই উট দেখতে চাইবেন ও তাদের সঙ্গে ছবি তুলতে চাইবেন, কারণ ইউরোপ ও পূর্ব এশিয়ায় উট মেলে না। স্মারকগ্রন্থ সম্বলিত স্টোর সিন্দুকভর্তি।
সোনার নেকলেস ব্যবসায়ী সালেহ মহাম্মদ মোটরবাইক রাইডার খুঁজছেন যারা পণ্য হোটেলে পৌঁছে দেবেন। বস্ত্র, সাধারণ জামা কাপড়, খেলনা, পতাকা, স্কর্ফের দোকান খুলেছে। মেট্রো রেল পরিষেবা ও পরিকাঠামো তৈরি করা হয়েছে। দোহার বাইরে অনেক নতুন রিসর্ট তৈরি হয়েছে। বিশ্বকাপের মাধ্যমে সেই দেশে বিদেশি পর্যটকদের সংখ্যা বাড়াতে আগ্রহী কাতার প্রশাসন।