বেঙ্গলের মানিন্দর অনেকটা লড়াই করে ১৬ পয়েন্ট তুললেও, ম্যাচের তারকা ছিলেন ২৪ পয়েন্টের সঙ্গে দিল্লির নবীন। ভীষণভাবে দুই দলের প্রদর্শনের পার্থক্য চোখে পড়ছিল শুরু থেকে। দিল্লির আক্রমণের সামনে টিকতে পারছিল না বেঙ্গলের রক্ষণ। দিল্লির নবীন কাঁটা হয়ে উঠেছিল। ছয় মিনিটের মধ্যে বেঙ্গলকে অল আউট করে দেয়। ১০-৪ এ লিড তুলে নেয় দিল্লি।
advertisement
রেডার নবীনের আগ্রাসনের কাছে বেঙ্গলের রক্ষণকে মনে হচ্ছিল, মেশিন গানের মুখোমুখি একটি নিরস্ত্র সৈন । একবারের জন্যেও ম্যাচে ফেরার মত অবস্থা তৈরি করতে পারেনি বেঙ্গল। নবীন প্রথম অর্ধের মধ্যেই তার সুপার টেন পূর্ণ করে নিয়েছে। দিল্লি ২১-৭ এ এগিয়ে থাকার সময় আবার অল আউট করে বেঙ্গলকে।
বেঙ্গল ওয়ারিয়র্স যারা গোটা ম্যাচটা শুধু রক্ষণ করে গেল, কিন্তু প্রথম ট্যাকল থেকে পয়েন্ট পায় যখন ২৭-৯ এ পিছিয়ে ছিল তারা। ম্যাচের তারকা নবীন, তিনি প্রথম ব্যার ট্যাকল হলেন যখন দিল্লি ৩৩-১৫তে এগিয়েছিল, অসম্ভব কষ্ট এবং পরিশ্রম করে বেঙ্গলের ডিফেন্ডাররা নবীনকে কোর্টে আটকে রাখতে সফল হয়। বেঙ্গল ওয়ারিয়রস সেরা তারকা ইরানের নবি বক্স পর্যন্ত আজ সুবিধা করতে পারেননি।
কিন্তু বোঝাই যাচ্ছিল যে রকম অবস্থায় আছে সেখান থেকে আর নিজেদের উদ্ধার করতে পারবে না বেঙ্গল ওয়ারিয়র্স। এই বছরের প্রো কবাডি লিগে দাবাং দিল্লি একটি ম্যাচও হারেনি, ৪টি ম্যাচে ১৮ পয়েন্ট নিয়ে তারা টেবিলের শীর্ষে আছে। বেঙ্গল ওয়ারিয়র্স এই ম্যাচ হেরে টেবিলের পঞ্চম স্থানে নেমে গেছে।
একই দিনে প্রো কবাডি লিগে আরেকটি অসাধারণ ম্যাচ দেখা যায় ইউপি যোদ্ধা এবং গুজরাত জয়ানটসদের মধ্যে,l। সেটা ড্র তে শেষ হয়। ৩২-৩২ পয়েন্টে গেমের সময়সীমা পেরিয়ে যায়। শেষ রেডে সুযোগ ছিল ইউপির পারদিপ নারওয়ালের ম্যাচ বের করে নেওয়ার।
কিন্তু কোচের পরামর্শে তিনি ঝুঁকি না নিয়ে, ড্রতে ম্যাচ শেষ করেন। প্রথমে পিছিয়ে থাকার পর ইউপি পারদিপের হাত ধরে কামব্যাক করে এবং তিনি একটু সুপার টেন পূর্ণ করেন। এই নিয়ে দুটো জয় দিয়ে টুর্নামেন্ট শুরু করলেও পরপর দুটো ম্যাচ হারল বেঙ্গল ওয়ারিয়র্স।