মনিন্দর সিং এবং ইরানিয়ান তারকা নবীবক্স বেঙ্গলকে রেড থেকে পয়েন্ট এনে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছিলেন। হরিয়ানা স্টিলার্সকে অল আউট করতেও সফল হয় বেঙ্গল। ১৮-১৫তে এগিয়ে থেকে বেঙ্গল প্রথম অর্ধ শেষ করে। দ্বিতীয় অর্ধ শুরু হতেই অল আউট হয়ে যায় বেঙ্গল এবং সমতায় ফিরে আসে হরিয়ানা। তারপর থেকে বাকি ম্যাচ হরিয়ানার থেকে একবারও এগোতে পারেনি বেঙ্গল ওয়ারিয়র্স।
advertisement
হরিয়ানার মিতু মাহিন্দর এতটাই দারুণ ছিলেন কিছুতেই বেঙ্গল ওয়ারিয়র্স এর রক্ষণ কিছুতেই আটকাতে পারছিল না তাকে। দলকে ১০ পয়েন্ট দেন তিনি। হরিয়ানার কোচকে বলতে শোনা যায়, বেঙ্গলের রেডাররা এলে যেন তারা পিছিয়ে না থাকে, ট্যাকল জন্য চেষ্টা করে। ম্যাচ তাদের ঘরে, রেড করতে গিয়ে যেন পুরো ৩০ সেকেন্ড সময় নেয় তারা। পরের ম্যাচে জয়পুর পিং প্যান্থারস ৩১-২৬ এ হারায় পুনেরি পল্টনকে।
শুরু থেকেই ম্যাচে এগিয়ে ছিল জয়পুর, জায়গা ছাড়েনি পুনেকে। জয়পুর এর অর্জুন এই মরশুমে প্রায় একার দায়িত্বে দলকে টেনে নিয়ে যাচ্ছে এবং এই ম্যাচেও জয়ী অসাধারণ কৃতিত্ব ছিল তার। পুনেরী পল্টনের অধিনায়ক নিতিন তোমার এই ম্যাচে অনেকদিন পর ফিরে এসেছে পরিবর্ত হিসেবে। বেশ কয়েকটি ম্যাচে তিনি বাদ পড়েছিলেন চোটের জন্য।
প্রথম অর্ধে একবার অল আউট হয়েছিল পুনে, তখন জয়পুর ১৬-৯ এর লিড এগিয়ে গেছিল। পুনের মোহিত গোয়াত প্রথম দিকে ভালো না খেললেও, হঠাৎ তার আক্রমনাত্মক খেলায় দলকে ১৭-১৭তে সমতায় এসে গেছিল তার দল। তিনি জয়পুরকে অল আউট করতে সক্ষম হন।
১৮-১৭তে এগিয়ে প্রথম অর্ধ শেষ করার পর জয়পুর আবার তাদের আগের ফর্মে ফেরে এবং লিড বাড়াতে থাকে। জয়পুর এর অর্জুন তার পর পর সপ্তম সুপার টেন পূর্ণ করেন এই ম্যাচে। ম্যাচ শেষ হওয়ার কিছু আগেই একবার অল আউট হয় পুনে। তখন আর ম্যাচে ফেরার কোনো উপায় ছিল না।