বাংলার জয়ের প্রধান দুই কারিগর দলনেতা মনিন্দর সিং এবং মহম্মদ নবিবক্স। এই দুই তারকার যৌথ সংগ্রহ ২৩ পয়েন্ট। এ দিন বাংলার দলটির হয়ে ১৩ পয়েন্ট অর্জন করেন মনিন্দর সিং। বেঙ্গল ওয়ারিয়র্সের আক্রমণের প্রধান ভরসা মনিন্দরের সংগৃহীত ১৩ পয়েন্টের মধ্যে ১১টি টাচ পয়েন্ট। একটি ট্যাকেল এবং একটি বোনাস পয়েন্ট অর্জন করেছেন তিনি।
advertisement
অপরদিকে, ইরানের অলরাউন্ডার মহম্মদ নবিবক্সের অর্জিত দশ পয়েন্টের মধ্যে ছয় পয়েন্ট এসেছে রেইড থেকে। এক পয়েন্ট বোনাস এবং ট্যাকেলে তিন পয়েন্ট অর্জন করেছেন ৩০ বছর বয়সী এই বিদেশি। এছাড়া দুই পয়েন্ট পয়েছেন আবোজার মিঘানি। অপরদিকে, জয়পুর পিঙ্ক প্যান্থার্সের হয়ে গোটা ম্যাচে একমাত্র বেঙ্গল'কে লড়াই দেওয়া চেষ্টা করেছেন স্টার রেডার অর্জুন দেশওয়াল।
অর্জুন ছাড়া কেউই এ পিঙ্ক প্যান্থার্সের জার্সিতে সাফল্যের মুখ দেখেননি। বিশেষ করে ডিফেন্ডারদের ব্যর্থতা ডুবিয়েছে দলকে। জয়পুরের ২৮ পয়েন্টের মধ্যে অর্জুন একাই নিয়েছেন ১৬ পয়েন্ট। এছাড়া দীপক হুডা পাঁচ পয়েন্ট এনে দিয়েছেন দলকে। এই ম্যাচে জয়ের ফলে ৬ ম্যাচে ১৬ পয়েন্ট নিয়ে লিগ টেবলের পাঁচ নম্বরে রয়েছে বেঙ্গল ওয়ারিয়র্স। এক ম্যাচ কম খেলে ১২ পয়েন্ট নিয়ে জয়পুর আছে ন'নম্বরে।
অপর একটি ম্যাচে পাটনা পাইরেটস নামমাত্র ব্যবধানে পারস্থ করেছে তেলেগু টাইটানস'কে। তেলেগু'র বিরুদ্ধে পাটনা জিতেছে ৩১-৩০ ব্যবধানে। এই ম্যাচে হারের ফলে পাঁচ ম্যাচ খেলা হয়ে গেলেও এখনও জয়ের মুখ দেখতে পারল না তেলেগু টাইটানস। লিগ টেবলে তাদের অবস্থান একাদশতম স্থানে। তেলেগু'কে হারিয়ে এই ম্যাতে জয়ের হ্যাটট্রিক করল পাটনা।
৫ ম্যাচ থেকে ২১ পয়েন্ট নিয়ে লিগ টেবলের তৃতীয় স্থানে রয়েছে পাটনা। মনিনদর জানিয়েছেন শেষ দুটি ম্যাচে কিছুটা চোট ছিল তার। তাই কিছুটা ব্যথা নিয়ে খেলেছিলেন। কিন্তু এখন তিনি সম্পূর্ণ সুস্থ। সঙ্গে নবি বক্স এবং দলের বাকিরা গুরুত্ব বুঝতে পেরেছিল পরপর তিনটি ম্যাচ হেরে গিয়ে। লড়াইয়ে থাকতে হলে জিততেই হত তাদের। তাই টিম মিটিং এর নতুন প্রতিজ্ঞা নেওয়া হয় কামব্যাক করার। কোন জায়গায় ভুল হচ্ছে রিপ্লে দেখে বারবার বোঝা যায়।