এদিন শেষ ওভারে দিল্লির জয়ের জন্য দরকার ছিল ৩৬ রান। প্রথম তিন বলে তিনটি ছক্কা মারেন পাওয়েল। কিন্তু তৃতীয় বল কোমরের উচ্চতার কাছাকাছি ফুলটস ছিল। মাঠের আম্পায়াররা নো বল না দেওয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করে দিল্লি শিবির। ডাগ আউট থেকে সমানে ওয়ার্নার, পন্থরা নো বলের ইঙ্গিত করতে থাকেন। তৃতীয় আম্পায়ারের আবেদন জানান। কিন্তু, সেই আবেদনে মাঠের আম্পায়াররা সাড়া না দেওয়ায় দিল্লি শিবিরে নিজেদের ক্ষোভ আর সম্বরণ করতে পারে না৷
advertisement
আরও পড়ুন - ঋদ্ধিমান সাহা-র ঘটনায় দোষী প্রমাণিত বোরিয়া মজুমদার, ২ বছরের জন্য হতে পারেন নির্বাসিত
এরপরেই মাঠ থেকে প্লেয়ারদের উঠে আসার নির্দেশ দিতে থাকেন দিল্লি ক্যাপিটাল্সের অধিনায়ক ঋষভ পন্থ৷ কিন্তু আম্পায়রার প্লেয়ারদের মাঠ ছাড়া থেকে বিরত করেন৷ এরপর পন্থ প্রবীন আমরেকে বলেন, ‘‘স্যার আপনি মাঠে গিয়ে আম্পায়রের সঙ্গে কথা বলবেন নাকি আমি যাব?’’ প্রবীন আমরের মনে হয় ওই মুহূর্তে অধিনায়কের মাঠে গিয়ে আম্পায়রের সঙ্গে কথা বলা ঠিক নয়, তাই তিনিই মাঠে গিয়ে আম্পায়রদের সঙ্গে কথা বলেন৷ আর এই জন্যেই এক ম্যাচ নির্বাসিত হয়েছেন প্রবীন আমরে৷ আর যদি সেই সময়ে প্রবীন আমরে মাঠে না যেতেন তাহলে ঋষভ পন্থের ওপর আর্থিক জরিমানার পর ম্যাচে নির্বাসনের শাস্তিও হত৷
ফলে প্রবীন আমরে নিজে শাস্তির খাড়া নিশ্চিত জেনেও মাঠে আম্পায়রদের বোঝাতে যান৷
এদিকে যে বল নিয়ে এত বিতর্ক সেখানে রিপ্লেতে দেখা যায় বল পাওয়েলের ব্যাটে লাগার সময় তার উচ্চতা ছিল কোমরের সামান্য উঁচুতে। তা দেখেই পাওয়েল এবং কুলদীপ যাদবকে মাঠ থেকে বেরিয়ে আসার নির্দেশ দেন দিল্লি অধিনায়ক। দুই ব্যাটার মাঠের বাইরে চলে যেতে চাইলে তাঁদের আটকান মাঠের আম্পায়াররা।
আরও পড়ুন - টি টোয়েন্টি বিশ্বকাপের দলে নাম উঠবে তো, ‘বড় দাদা’-রা ফ্লপ শো চালাচ্ছেন, নির্বাচকদের চোখ খোলা
আইপিএলের গভর্নিং কাউন্সিলের তরফে জানানো হয়েছে, প্রতিযোগিতার কোড অব কন্ডাক্টের ২.৭ ধারায় লেভেল ২ অপরাধ করেছেন পন্থ। নিজের অপরাধ স্বীকার করেছেন তিনি। তাই তাঁকে জরিমানা করা হয়েছে। প্রবীণ ২.২ ধারায় লেভেল ২ অপরাধ করেছেন। তাই তাঁর ম্যাচ ফি-র ১০০ শতাংশ জরিমানা করা হয়েছে ও এক ম্যাচ নির্বাসিত করা হয়েছে। ২.৮ ধারায় লেভেল ২ অপরাধ করেছেন দিল্লির আর এক ক্রিকেটার শার্দুল ঠাকুরও। তাঁর ম্যাচ ফি-র ৫০ শতাংশ কেটে নেওয়া হয়েছে।