অ্যাডিলেডেও টস ভাগ্য সাথ দেয়নি ভারতীয় দলের। শুরুতেই শুভমান গিল ও বিরাট কোহলির উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে যায় ভারত। ২ উইকেট হারানোর পর ভারতীয় ইনিংসের রাশ ধরেন রোহিত শর্মা ও শ্রেয়স আইয়ার। প্রথম একটি ধীর গতিতে খেললেও, সেট হতেই বাড়ে রানের গতি। শতরানের পার্টনারশিপ গড়ে ভারতকে শক্ত ভিত গড়ে দেন দুই ব্যাটার।
advertisement
১১৮ রান জুটিতে যোগ করেন তারা। কিন্তু দুই সেট ব্যাটার ফিরতেই ফের কিছুটা চাপ বাড়ে ভারতীয় ব্যাটিংয়ের। এরপর ভারতীয় দলের ব্যাটিংয়ে ৪১ রানের উল্লেখযোগ্য অবদান রাখেন অক্ষর প্যাটেল। পাঁচ নম্বরে ব্যাটিং করতে নেমে ফের নজর কাড়েন তিনি। এছাড়া শেষের দিকে স্লগ ওভারে ২৪ রানের ঝোড়ো ইনিংস খেলেন হর্ষিত রানা।
রান তাড়া করতে নেমে শুরুটা খুব একটা ভাল হয়নি অস্ট্রেলিয়ারও। মিচেল মার্শ ১১ ও ট্রেভিস হেড ২৮ রান করে আউট হন। প্রথম ১০ ওভারে মহম্মদ সিরাজ ও অর্শদীপ সিংও আঁটোসাঁটো বোলিং করেন। ম্যাট রেন শঁ ও ম্যাট শর্ট মিলে ৫৫ রানের পার্টনারশিপ গড়ে দলকে ভালো জায়গায় পৌছে দেন। রেন শঁ ৩০ রান করে আউট হলেও নিজের ইনিংস চালিয়ে যান শর্ট হাফ সেঞ্চুরি পূরণ করেন তিনি।
এরপর ছোট ছোট পার্টনারশিপ হলেও নিয়মিত ব্যবধানে আরও দুটি উইকেট হারায় অস্ট্রেলিয়া। অ্যাসেক্স ক্যারি ৯ ও ম্যাট শর্ট ৭৪ রান করে আউট হন। একটা সময় ১৮৭ রানে ৫ উইকেট ছিল অজিদের। তখনও লড়াই করার মত জায়গায় ছিল ভারত। কিন্তু কুপার কনোলি ও মিচেল ওয়েনের ৫৯ রানের পার্টনারশিপ ভারতের সব আশা করে দেয়। ৩৬ রান করে ফেরেন ওয়েন।
আরও পড়ুনঃ Virat Kohli: ১৭ বছরের ক্রিকেট কেরিয়ারের প্রথমবার! এমন ‘লজ্জা’ এর আগে কখনও হয়নি কোহলি
শেষের দিকে পরপর দুটি উইকেট পড়ায় ম্যাচের রোমাঞ্চ কিছুটা বেড়েছিল। কিন্তু কুপার কনোলি ঠান্ডা মাথায় ম্যাচ ফিনিশ করেন। ৬১ রানের অপরাজিত ইনিংস খেলে দলকে সিরিজ জয় উপহার দেন তরুণ অদি তারকা। এই জয়ের ফলে অস্ট্রেলিয়া সিরিজ জয় পাকা হয়ে গেল। এবার তৃতীয় ম্যাচে হোয়াইট ওয়াশ হওয়ার হাত থেকে ভারত বাঁচতে পারে কিনা তার উত্তর মিলবে সিডনিতে।
